রাষ্ট্রসংঘে মোদীর মুখে জনকল্যাণের থেকে বিশ্বকল্যাণ বার্তা, ইমরানের মুখে গুলি-বোমা পরমাণু হিংসা!

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বোম অস্ত্র যুদ্ধবিমান আতংবাদি এর সবকিছু নিয়ে যেন পাকিস্তানে হিট পিণ্ড। তৈরি প্রতি মুহূর্তে তারা চায় রক্তগঙ্গা বইয়ে দিতে। ভারতে কোন আতংবাদি হামলা হোক বা ভারতে কোন বিস্ফোরণ তারা সবসময় ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতেই থাকে। ভারতের বিরুদ্ধে বলা এবং ভারতের বিরুদ্ধে করা এর মধ্যে যে আকাশ জমিন পার্থক্য আছে তা আগে বুঝেছিলেন পাকিস্তানি পূর্ববর্তী রাষ্ট্রপতিরা। কিন্তু এবার হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন পাকিস্তানের বর্তমান বিশ্বকাপ ক্রিকেট জয়ী খেলোয়াড় ইমরান খান। তিনি জানেন না এ ক্রিকেটের আর ভারতের মাটিতে খেলার দুটোই আলাদা।

রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে কাশ্মীর নিয়ে লম্বা-চওড়া বক্তব্য পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সংবিধানের 370 ধারা বিলোপ এর মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার জন্য ভারতের বিরোধিতা করার পরেও কারফিউ রক্তগঙ্গা বইয়ে এমন হুঁশিয়ারি দেন তিনি পিছপা হননি।

ইমরান খান বলেন “মোদি কি মনে করছেন ফিউচার তার হলে কি হবে? কাশ্মীরে আপনি মনে করেন কাশ্মীরের মানুষ এই বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের বিষয়টি মেনে নেবে? সেখানে হাজার হাজার ছেলেকে আটকে করা হয়েছে কারফিউ উঠলে তারা রাস্তায় নামবে। তখন সে না তাদের গুলি করবে এখন শুনতে পাওয়া যাচ্ছে ভারতীয় সেনা গান ব্যবহার করছে তবে কারফিউ ওঠার পর যদি পুলবামা হামলা হয় তাহলে পাকিস্তানকে দোষারোপ করা হবে।কাশ্মীরের অনেকেই অস্ত্র তুলে নেবে। বলেন “ভারতে কয়েক কোটি মুসলিম বসবাস করেন। মোদি আপনি কি জানেন ওরা কি ভাবছে রক্ত বইলে, সেখানে মুসলিমদের মধ্যে মৌলবাদ বৃদ্ধি পাবে মুসলিমরা মৌলবাদে আকৃষ্ট হবে। হাতে অস্ত্র তুলে নিবে।”

মোদিকে সামনে রেখে তিনি আরো বলেন “রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ হিটলার ও বেনিতো মুসোলিনির দ্বারা অনুপ্রাণিত। ইমরান বলেন আরএসএসের মুসলিমদের হত্যায় বিশ্বাসী আরএসএসের গুন্ডারাজ মুসলিম হত্যা করছে সবশেষে তিনি বলেন যে দেশের আকারের চারগুণ বড় অন্য একটি দেশের সঙ্গে যুদ্ধে যদি যেতেই হয় তবে আমরা কি করব? আমি প্রশ্নটা নিজেকে বহুবার করেছি। আমি জানি আমাকে লড়াই করতে হবে। কিন্তু ভেবে দেখুন কি পরিনতি হবে। যখন দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র একে অপরের সঙ্গে লড়বে। আন্তর্জাতিক মহলকেও তিনি তার বক্তৃতার মাধ্যমে হুঁশিয়ারি দেন।

সম্পর্কিত খবর

X