মোদীর ডিজিটাল প্ল্যান এবার আসছে কাজে, লক ডাউনের সময় সুন্দরভাবে হচ্ছে সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) কারণে বিভিন্ন দিকে বিভিন্ন রকম সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) নয়ডার ২২ টি হটস্পটকে চিহ্নিত করে সিল করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে পুলিশ ঘুরে ঘুরে লাউডস্পিকারে করে সাধারণ মানুষকে ঘর থেকে না বেরিয়ে ঘরে থাকার বার্তা দিয়ে চলেছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সিল করা হয়েছ এইসব এলাকাগুলো। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল মিডিয়ার বিষয়ে প্রথমে অনেক সমালোচনা হলেও, বর্তমানে এই বিষয়টাই দারুণভাবে সাড়া ফেলেছে।

police 7

প্রশাসনের তরফ থেকে এলাকাগুলোতে করোনা ভাইরাসের দরুন সতর্কবার্তা জারী করেছে। জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যক্ত ব্যক্তিগণ এবং মিডিয়ায় কর্মরত ব্যক্তি ছাড়া বাকিদের গৃহবন্দি হয়ে থাকতে বলা হয়েছে। নাগরিকদের প্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য তাঁদের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দেওয়া হবে। বাইরে বেরোনোর প্রয়োজন নেই নাগরিকদের।

এই পরিস্থিতিতে নয়ডার সেক্টর ৭৮ -এ বসবাসকারী নাগরিকদের ঘর থেকে বেরোতে সম্পূর্ণ নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। সোসাইটির বাইরের গেট বন্ধ রেখে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অল্প সংখ্যা ডেলিভারি বয় রয়েছে বাইরে রয়েছে, যারা সেখানকার বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছে। এই প্রক্রিয়া অনলাইনের মাধ্যেম করা হচ্ছে। অনলাইনের মাধ্যেম ক্রেতার প্রয়োজনীয় জিনিস তাঁর বাড়িতে ডেলিভারি দিয়ে আসছে ডেলিভারি বয়রা। এইভাবে তারা চাল, ডাল, দুধ ইত্যাদি দ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছে। কিন্তু কোন ব্যক্তি চাইলেও সোসাইটির বাইরে বেরোতে পারছে না।

ploice222222

নয়ডার পর গাজিয়াবাদেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৩ টি হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানেও কড়া পাহাড়া বসানো হয়েছে। নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখার জন্য সরকার সবরকম চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছেন।

এইভাবেই গাজিয়াবাদের গ্রিনার অ্যাপার্টমেন্টে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে এসে সেখানে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দিয়ে গেছে। যাতে সেখান থেকে কোন ব্যক্তি বাইরে যেতে না পারে। এবং কোন ব্যক্তি সেখানে প্রবেশ না করতে পারে। গাজিয়াবাদের ১৩ হটস্পটের মধ্যে এই এলাকা অন্যতম। গত সপ্তাহেই এই সোসাইটিতে ১ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। আর তারপর থেকেই সেখানে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।

tala 1

উত্তরপ্রদেশের ১৫ জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং সেখানকার বেশকিছু এলাকা করোনার হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নাগরিকরা যদি ঘর থেকে বেরিয়ে একে অপরের সঙ্গে মেলামেশা করে, তাহলে করোনা ভাইরাস তাঁর ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। সেই কারণে উত্তরপ্রদেশ সরকার এই ব্যবস্থা করেছে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর