বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভোটের বাংলায় বাড়ছে করোনার দাপট (Corona Outbreak)। দিনে দিনে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সমান তালে তাল মিলিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক সভা-মিছিল গুলি যাতে করোনার ‘হটস্পট’ হয়ে না ওঠে, তার জন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে কঠোর ভাবে করোনা বিধি মানার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে অনেক আগেই। তদুপরি এতদিন রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ মানুষের জন সমাবেশে থোড়ায় কেয়ার মনোভাব দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞ মহল।
তবে এবার বড় জন সমাবেশ থেকে একে একে সরে দাঁড়াচ্ছে সব রাজনৈতিক দল গুলি। সংযুক্ত মোর্চার বাম-কংগ্রেসের তরফে বড় কোনও সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) তরফেও কলকাতায় আর বড় জমায়েত করা হবে না বলে জানানো হয়। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা গুলি নিয়ে। তারপরই বিজেপি বাংলায় কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) টুইট করে জানান, বাংলায় মোদির একটিও সভা বাতিল হচ্ছে না। তবে কঠোর ভাবে করোনা বিধি পালন করা হবে সেই সব জনসভা গুলিতে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (PMO) নির্দেশ মেনে তাতে কাটছাঁটও করা হবে।
এরপরই আজ মঙ্গলবার সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) বঙ্গে চারটি জনসভা বাতিল করে বিজেপি। তবে জে পি নাড্ডার সভা বাতিল হলেও, তিনি দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বুঝিয়ে দেন জনসমাগম এড়াতে ভার্চুয়াল প্রচারে জোর দেওয়া উচিত বলে। বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী ২২ এবং ২৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) চারটি জনসভা ২৩ এপ্রিল একইসাথে করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এমনকি সেই সব জনসভা তে মঞ্চে তিন জন এবং সভা প্রাঙ্গনে মোট ৫০০ জনকে সংক্রমণমুক্ত করেই ঢুকতে অনুমতি দেওয়া হবে। তাতে মানে হবে দূরত্ব বিধিও।
উল্লেখ্য, আগামী ২৩ এপ্রিল মোদী সভা করবেন মালদহ, মুর্শিদাবাদ, কলকাতা এবং বোলপুরে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল ওই দিন ওই চার কেন্দ্রে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বাকি ৬৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভার্চুয়াল মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে সরাসরি সম্প্রচার করার কথা ভাবছে বিজেপি। এর জন্য প্রতিটি কেন্দ্রেই একাধিক জায়গায় এলইডি স্ক্রিন লাগানোর কথা ভাবা হচ্ছে বলেও জানা যায়, এর পাশাপাশি মোবাইলেও সমর্থকদের মোদীর ভাষণ শুনতে উৎসাহিত করা হতে পারে বলেও খবর।