বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আইপিএল এর আগেও টিম ইন্ডিয়াকে একাধিক বড় সুপারস্টারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। একেবারে সম্প্রতিক হিসেবে এ ক্ষেত্রে ঈশান কিশান, দেবদূত পাডিক্কল, ঋতুরাজ গায়কোয়াড়দের নাম করা যেতে পারে। যারা আইপিএলে অসাধারণ পারফরম্যান্সের জেরে সকলের নজর কেড়ে নিয়েছেন। তবে আইপিএলের এইসব সুপারস্টাররা তৈরি হন ঘরোয়া ক্রিকেট লিগ থেকেই। সর্বদাই আইপিএলে প্রবেশের জন্য এক বড় মঞ্চ হয়ে ওঠে সৈয়দ মুস্তাক আলী ট্রফি।
আজ এমন একজন ক্রিকেটারের কথা বলব ২০২১ সালের সৈয়দ মুস্তাক আলী ট্রফি চলাকালীন যার নাম উঠে এসেছিল সংবাদ শিরোনামে। শুধু তাই নয় তার পারফরম্যান্সের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন বীরেন্দ্র সেওয়াগের মতো ক্রিকেটাররাও। অনেকেই মনে করেন এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান আগামী দিনে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ঋষভ পন্থের মত খেলোয়াড়দেরও বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলতে পারেন। কেরালার এই বিধ্বংসী ব্যাটারের নাম মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন।
এক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন ছিলেন ভারতের সফল অধিনায়কদের অন্যতম, আর আরেক মোহম্মদ আজহারউদ্দিন শিরোনামে উঠে আসেন মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে মাত্র ৩৭ বলে শতরান করে। মাত্র ৫৪ বলে সেদিন ১৩৭ রানের অনবদ্য ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন তিনি। মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে খেলা তারেই ইনিংস সাজানো ছিল নটি চার এবং এগারটি ছয় দিয়ে। তার এই ব্যাটিং দেখে সেওয়াগ লেখেন, “বাহ আজহারউদ্দিন অসাধারণ, মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে এভাবে রান তুলতে গেলে পরিশ্রমের দরকার হয়। ৫৪ বলে ১৩৭* এবং নিজে হাতে কাজ শেষ করে আসা, ইনিংসটা সত্যিই উপভোগ করলাম।”
Wah Azharudeen , behtareen !
To score like that against Mumbai was some effort. 137* of 54 and finishing the job on hand. Enjoyed this innings.#SyedMushtaqAliT20 pic.twitter.com/VrQk5v8PPB
— Virender Sehwag (@virendersehwag) January 13, 2021
তার এই অসাধারণ ইনিংসের পরেই সোজাসুজি আইপিএলের দরজা খুলে যায় আজহারউদ্দিনের জন্য। বর্তমানে তিনি ব্যাঙ্গালোরের অন্যতম সদস্য, তার লক্ষ্য ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা। ২০১৫ সালে প্রথমবার রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক হয় মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের। ২০১৬ সালে প্রথম ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে অংশগ্রহণ করেন তিনি। শুরুর দিকে তিনি অনেক নিচে ব্যাট করায় পারফরম্যান্স ভালো ছিল না। কিন্তু ভারতের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার এবং কেরালার কোচ টিনু ইয়োহানানের বিশ্বাস ছিল এই প্রতিভার উপর। অবশেষে তারই ফল কেরালা পাই সৈয়দ মুস্তাক আলী ট্রফিতে। বর্তমানে মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন কোহলিরও যথেষ্ট প্রিয় হিসেবে পরিচিত।