উইকেট নিচ্ছেন কিন্তু দিচ্ছেন না রান, বুমরা-শামির পাশাপাশি এখন ভারতীয় দলে অপরিহার্য সিরাজও

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: গতকাল ভারত ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ঐতিহাসিক সিরিজ জিতেছে। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছেন শিখর ধাওয়ান, শুভমান গিল শ্রেয়স আইয়াররা। কুইন্স পার্ক ওভাল বৃষ্টির কারণে ৫০ ওভারের ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ৩৫ ওভারের ম্যাচ। ওভার কমে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। কিন্তু ১১৯ রানের ব্যবধানে হার মানতে হয় ক্যারিবিয়ানদের।

কাল ভারতের ৩৬ ওভারে তোলা ২২৫ রান, ডার্ক ওয়ার্থ লুইস নিয়মের ফাঁদে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ৩৫ ওভারে ২৫৭ রানের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। মাত্র ২৬ ওভার ব্যাটিং করে ১৩৭ রানে অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অর্থাৎ পরিসংখ্যান বলছে তারা বিশাল ব্যবধানে হারলেও আগ্রাসী ব্যাটিং করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু চাহালের দুর্দান্ত বোলিং এবং মাঝখানের ওভার গুলিতে বড় পার্টনারশিপ না গড়ে তুলতে পারার জন্য তারা শোচনীয়ভাবে হারের মুখ দেখে। কিন্তু তারা কিছুক্ষণ অন্তত আক্রমণাত্মকভাবে লড়াই চালিয়ে ছিলেন। গোটা সিরিজের চিত্রটাই অবশ্য এটাই ছিল কারণ প্রথম এবং দ্বিতীয় ম্যাচের চার ইনিংসেই ৩০০-এর ওপর রান উঠেছিল। সৌভাগ্যক্রমে ভারতের হাতে এমন একজন বোলার ছিলেন যিনি প্রতি ম্যাচেই দুর্দান্ত বোলিং করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাজটা কঠিন করে গেছেন।

team india dh

এখানে বলা হচ্ছে মহম্মদ সিরাজ এর কথা। ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই সিরিজে ব্যাটিংয়ের সময় দুইটি দলই যথেষ্ট পারদর্শিতা প্রদর্শন করেছে। দলগত রান সবসময়ই বিশাল অঙ্কে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তার মধ্যে সিরাজই ছিলেন একমাত্র ভারতীয় বোলার তিনটি ম্যাচেই ইকোনমি রেট দুর্দান্ত ছিল। তার ইকোনমি রেট একবারও ৬-এর গণ্ডি ছোঁয়নি। দীপক হোডার বোলিংকে বাদ দিলে বাকি সমস্ত নিয়মিত ভারতীয় বোলাররা কোনও না কোনও ম্যাচে ৬-এর বেশি ইকোনমি রেটে রান দিয়েছেন। এই নিয়মের একমাত্র ব্যতিক্রম সিরাজ।

সিরাজ গতকাল নিজের প্রথম ওভারে ২টি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি তিন ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়েছিলেন। প্রথম ম্যাচে তিনি দুই উইকেট নিয়ে নিজের ১০ ওভারে ৫৮ রান দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেট না পেলেও কৃপণ বোলিং করে মাত্র ৪৬ রান দিয়েছিলেন নিজের ১০ ওভারে। গোটা সিরিজে যেখানে রানের হরির লুট চলেছে, সেখানে সিরাজ ছিলেন আশ্চর্য রকমের কৃপণ। সেই সঙ্গে তিন ম্যাচে চার উইকেট নিয়েছেন তিনি। শার্দুল ঠাকুর, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, আবেশ খানরা যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটারদের হাতে অকাতরে রান বিলিয়েছিলেন সেখানে সিরাজ যেন অনেক বেশি পরিণত বোলিং করেছেন। বুমরা এবং শামির পাশাপাশি ভারতীয় দলের তৃতীয় পেসার হিসেবে নিজেকে প্রায় নিশ্চিতই করে ফেললেন তিনি।


Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর