সরকারি টাকায় মন্দির? দিঘা জগন্নাথ মন্দির প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মোহন ভাগবত, বললেন…

Published on:

Published on:

Mohan Bhagwat questions state funding of Digha Jagannath Temple
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিঘার জগন্নাথ মন্দির (Digha Jagannath Temple) নির্মাণে রাজ্য সরকারের খরচ ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা ফের আলোচনায় উঠে এল কলকাতায় আরএসএসের শতবর্ষ অনুষ্ঠানে। সরকারি কোষাগারের টাকায় আদৌ কি মন্দির বা মসজিদের মতো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি করা যায়, এই প্রশ্নেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন সঙ্ঘ পরিবারের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত।

দিঘার জগন্নাথ মন্দির (Digha Jagannath Temple) প্রসঙ্গে কি বললেন মোহন ভাগবত?

কলকাতার সায়েন্স সিটিতে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের শতবর্ষ অনুষ্ঠানে দিঘার জগন্নাথ মন্দির (Digha Jagannath Temple) তৈরীর বিষয়ে মুখ খুললেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। যাঁদের নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দুত্ববাদী আন্দোলন হয়েছে এবং যাঁদের নেতৃত্বেই অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি হয়েছে, সেই আরএসএস দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে কী ভাবছে, তা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। এর উত্তরে মোহন ভাগবত বলেন, সরকারি আধিকারিকরাই এই বিষয়ে সবচেয়ে ভালো বলতে পারবেন। তবে তাঁর যতদূর জানা, ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ এবং সমাজতান্ত্রিক দেশ। সেই কারণে কোনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সরকার নিজে তৈরি করবে, এমনটা হওয়া উচিত নয়।

এই বক্তব্যের পক্ষে দু’টি উদাহরণও দেন মোহন ভাগবত। প্রথমটি সোমনাথ মন্দির। ভাগবতের কথায়, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল সোমনাথ মন্দিরের পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নিলেও সরকারি কোষাগার থেকে কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। একটি ট্রাস্ট গঠন করে দেওয়া হয়েছিল মাত্র। একইভাবে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রামমন্দির তৈরি হলেও সরকার শুধু ট্রাস্ট গঠন করে দিয়েছে। মন্দির তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এক পয়সাও খরচ করেনি। টাকা দিয়েছিল সাধারণ মানুষ।

মোহন ভাগবত আরও বলেন, সরকার আসে-যায়, কিন্তু ধর্ম চিরন্তন। তাই ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি জুড়ে দেওয়া উচিত নয়। যদিও তিনি এটাও জানান, সমস্ত আইনি নিয়ম তাঁর জানা নেই। আইনের কোনও ফাঁক থাকলে তা খুঁজে মন্দির বা মসজিদ তৈরি করা হতে পারে। তবে তিনি যতদূর জানেন, সরকারি অর্থে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি করা যায় না। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ফের উঠে এসেছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির (Digha Jagannath Temple) নির্মাণের বিষয়টি।

গত বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরির দায়িত্ব রাজ্যের তরফে হিডকোকে দেওয়া হয়েছে। এই কাজে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই প্রায় ২০৫ কোটি টাকা খরচ করেছে। যদিও মন্দির পুরোপুরি তৈরি করতে আরও বেশি খরচ হবে বলেই জানা যাচ্ছে।

Mohan Bhagwat questions state funding of Digha Jagannath Temple

আরও পড়ুনঃ বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনীতির ময়দানে নতুন নাম, আজ মির্জাপুর থেকে নিজের দলের নাম ঘোষণা হুমায়ুনের

শুধু মন্দির নির্মাণই নয়, সম্প্রতি দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Digha Jagannath Temple) প্রসাদ তৈরি এবং বিতরণের দায়িত্বও হিডকোকেই দেওয়া হয়েছিল। জগন্নাথ দেবের প্রসাদ হিসেবে রাজ্যবাসীর মধ্যে প্রায় ৪২ কোটি টাকার পেঁড়া ও গজা বিতরণ করেছে রাজ্য সরকার। সব মিলিয়ে দিঘার জগন্নাথ মন্দির ঘিরে সরকারি খরচের প্রশ্নে ফের নতুন করে উঠল রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক বিতর্ক।