ঘরোয়া লিগ শেষ হওয়ার পর আইলিগ শুরুর আগে নিজেদের আরো ভালোভাবে ঝালিয়ে নেওয়ার জন্য কলকাতার একমাত্র দল হিসাবে বাংলাদেশে গিয়ে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ খেলছে মোহনবাগান। এই টুর্নামেন্টের মোহনবাগানের প্রথম ম্যাচ ছিল মোহনবাগান বনাম ইয়ং এলিফ্যান্ট, কিন্তু প্রথম ম্যাচে ইয়ং এলিফ্যান্টের কাছে হেরে কার্যত হতাশ করেছিল মোহনবাগান। সেই সাথে প্রথম ম্যাচ হারার জন্য সেমিফাইনালের দৌড়ে কিছুটা হলেও পিছিয়ে পড়েছিল মোহনবাগান ফুটবল দল।
কিন্তু তারপরে পরপর দুটো ম্যাচ খুব সুন্দর ভাবে জিতে নিয়ে সেমি ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল মোহনবাগান। চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে শুক্রবার মোহনবাগানের খেলা ছিল চট্টগ্রাম আবাহনীর বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে সুহেরের গোলে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারায় মোহনবাগান আর এই ম্যাচে জেতার সঙ্গে সঙ্গে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলে মোহনবাগান দল।
প্রথম ম্যাচে ইয়ং এলিফ্যান্ট এর কাছে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে টিসি স্পোর্টস ক্লাবকে 2-0 গোলে হারিয়ে ব্যাপকভাবে কামব্যাক করে মোহনবাগান দল। কিন্তু সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য মোহনবাগানকে জিততে হত তাদের তৃতীয় ম্যাচটিও, সেই কথা মাথায় রেখেই শুক্রবার তৃতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল কিবু ভিকুনার মোহনবাগান।
ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য ভাবে শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যাপক ভাবে নিজেদের মেলে ধরে মোহনবাগান ফুটবলাররা। একের পর এক আক্রমণ করে কার্যত নাভিশ্বাস করে তুলেছিল চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্স কে। আর ম্যাচের 60 মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে জালে বল জড়িয়ে দেন মোহনবাগানের স্ট্রাইকার সুহেল। অর্থাৎ তিন ম্যাচে মোট 6 পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকার কারণে ‘গ্রুপ-এ’ থেকে দ্বিতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনালে চলে গেল মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব।