সেমিফাইনালের আগেই বিরাট সুখবর মোহনবাগানে, শুনে লাফাচ্ছেন সবুজ-মেরুন সমর্থকরা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে গেছে ISL-র প্লে অফ ম্যাচ। প্রথম ম্যাচটি খেলেছে ওড়িশা এফসি এবং কেরল ব্লাস্টার্স। ২-১ গোলে ম্যাচ হারে কেরল‌। কেরলকে হারিয়ে ওড়িশা পৌঁছে গেছে সেমিফাইনালে। এবার মোহনবাগানের (Mohun Bagan Super Giants) সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ওড়িশা। ইতিমধ্যেই জোরসোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সবুজ মেরুন।

লিগ শিল্ড জয়ের পর পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু করেছে মোহনবাগান। সবুজ মেরুনের লক্ষ্য এখন আগামি সমস্ত ম্যাচে জয় হাসিল করা। গত শুক্রবার থেকেই প্লেয়ারদের ট্রেনিং দেওয়া শুরু করেছেন কোচ হাবাস। দেশি-বিদেশি সমস্ত প্লেয়ারকে মাঠে টেনে এনেছেন মোহনবাগান কোচ। শুরু হয়েছে ফিটনেস পরীক্ষাও, যারা এতদিন ছুটি কাটাতে গেছিলেন তাদেরও ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে খবর।

এসবের মাঝেই বড়সড় খবর এল মোহনবাগান সমর্থকদের জন্য। সূত্রের খবর, ভারতীয় ফুটবলের শীর্ষ ডিভিশনে শিরোপা জয়ের ক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গল এবং ডেম্পোকে পিছনে ফেলে দিয়েছে মোহনবাগান। এখন প্রশ্ন হল ঠিক কতগুলি শীর্ষ ডিভিশন শিরোপা হাসিল করেছে সবুজ মেরুন? বাকি দলগুলির দখলেই বা কতগুলি শিরোপা রয়েছে?

আরও পড়ুন : আর নয় অপেক্ষা, এই দিন প্রকাশিত হবে উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট! চলে এল বিরাট আপডেট

প্রথমেই বলি, এখনও পর্যন্ত মোট ৬ বার শীর্ষ ডিভিশন শিরোপা জিতে নিয়েছে মোহনবাগান। যেখানে ডেম্পোর দখলে রয়েছে ৫টি শিরোপা। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল জিতেছে ৩টি খেতাব এবং মুম্বই সিটি এফসি জিতেছে ২টি ম্যাচ। অন্যদিকে বেঙ্গালুরু জিতেছে ২টি খেতাব এবং গোকুলাম কেরালাও জিতেছে ২টি ম্যাচ। যেখানে চার্চিল ব্রাদার্স, সালগাওকারও জিতেছে ২টি করে খেতাব। অন্যদিকে মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড, আইজল, মিনার্ভা পঞ্জাব, চেন্নাই সিটি এফসি, এফসি গোয়া, জেসিটি এবং জামশেদপুর ১টি করে খেতাব জিতেছে।

আরও পড়ুন : IPL-র দ্বিতীয় ধনী টিম, কোথা থেকে এত টাকা আয় করে KKR? চমকে দেবে শাহরুখের দলের সম্পদের পরিমাণ

mohun bagan super giants

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী ২৭ এপ্রিল সেমিফাইনাল রয়েছে ওড়িশা এবং মোহনবাগানের মধ্যে। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সামনাসামনি হবে এই দুই দল। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে টিকিট বিক্রি। পূর্বের মত এবারও টিকিটের দাম রাখা হয়েছে মাত্র ৫০ এবং ১০০ টাকা। টার্গেট রয়েছে ৬২ হাজার টিকিট বিক্রি করার।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর