বাংলাহান্ট ডেস্ক : খারাপ রাস্তার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন গ্রামবাসীরা। সেই সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন গ্রামের উপপঞ্চায়েত প্রধান। তাকে দেখতে পেয়েই তার দিকে পাগলা হাতির মতো ছুটে গেল বিক্ষোভকারী দল। পরবর্তী সময়ে পুলিশ এসে রক্ষা করল উপপঞ্চায়েত প্রধানকে। উত্তেজনাপূর্ণ এই ঘটনাটি ঘটেছে কেতুগ্রামের বিললেশ্বর গ্রামে।
দীর্ঘদিন ধরে এই গ্রামের রাস্তার বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টিতে চলাফেরা দায় হয়ে ওঠে গ্রামবাসীদের। ছোট ছোট বাচ্চাদের অসুবিধা হয় স্কুল যেতে। এমনকি খারাপ রাস্তার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ঢোকে না গ্রামের ভেতর। এমন অবস্থায় বহুবার পঞ্চায়েতে জানালেও সুরাহা কিছুই হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে সকল গ্রামবাসী একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কিছুটা সময় যেতে অন্যান্য গ্রামের বাসিন্দারাও এসে যোগ দেন সেই বিক্ষোভে।
ঠিক সেই সময় ওই রাস্তা দিয়েই যাচ্ছিলেন গ্রামের পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুবীর পাল। তাকে দেখে পাগলা হাতির মত ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা। সুবীর পাল কে ধরার জন্য সবাই ছুটে যান তার দিকে। বিক্ষোভকারীদের ভয়ঙ্কর রূপ দেখে ভয় পেয়ে যান গ্রামের উপপঞ্চায়েত প্রধান সুবীর বাবু। তড়িঘড়ি সেখান থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেয় একটি স্থানীয় দোকানে। যদি বিক্ষোভকারীরা সেই দোকানে গিয়েও তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন।
ঘটনাটি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় স্থানীয় কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে এসে পরিস্থিতির সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কেতুগ্রাম থানার আইসি নিজে গিয়ে উদ্ধার করেন পঞ্চায়েত উপপ্রধানকে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ টাকা তছরুপ করেছেন এই উপপ্রধান। এক বিক্ষোপকারী জানিয়েছেন, “সব টাকা লুটেপুটে খেয়ে নিয়েছে। বর্ধমান, কাটোয়ায় বড় বড় ফ্ল্যাট কিনেছে। রাস্তা সাড়াই করছে না। আমাদের দুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে”
যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপপ্রধান সুবীর পাল। তিনি বলেছেন, “গ্রামবাসীরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করছেন। রাস্তার সংস্কারের ব্যাপারে সবে কথা শুরু হয়েছে। বর্ষাকালের জন্য হয়তো দেরি হচ্ছে। রাস্তা খারাপ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে রাগ আছে। আমরাও সেই ব্যাপারটি নিয়ে চিন্তিত।”