ভাইপোকে বিশ্বাস করাই হল কাল! পাসবুক আপডেট করতে গিয়ে দিশেহারা পিসি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভাইপোকে বিশ্বাস করেই হল কাল। এক ধাক্কায় খোয়া গেল পিসির সমস্ত গচ্ছিত টাকা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় কার্যত হতবাক গোটা রাজ্য। এমনও কাণ্ড ঘটতে পারে? ঘটনার বিবরণ শুনে বিশ্বাসই করতে পারছেনা কেউ। ব্যাপারটা ঠিক কী? কীভাবে পিসিকে লুটে নিল ভাইপো?

সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়িতে। পিসির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত ছিল ১৬ লক্ষ টাকা। আত্মীয়দের মধ্যে ভাগ করে দিতে চেয়েছিলেন সেই টাকা। তবে সেসবের আগেই ঘটে গেল বিরাট অঘটন। ব্যাঙ্কের পাশবই আপডেট করাতেই বেরিয়ে এল ভয়ানক তথ্য। দফায় দফায় ১২ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল ভাইপোর বিরুদ্ধে। কীভাবে ঘটল এই অঘটন?

পুলিশ সূত্রে খবর, বিশ্বাস করে ভাইপোর হাতে এটিএম কার্ড রেখেছিলেন তিনি। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তেমন কিছুই জানতেন না তিনি। তার সেই অজ্ঞতার সুযোগ নিয়েই পিসিকে সর্বসান্ত করে দিলেন ভাইপো। দফায় দফায় মোট ১২ লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই তার নামে থানায় FIR ও করা হয়েছে বলে খবর।

আরও পড়ুন:৮ ঘন্টার ধুন্ধুমার লড়াই, গুলিতে ঝাঁঝরা ১২ মাওবাদী! ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে বিরাট সাফল্য সেনার

ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ি ভোটপট্টি এলাকায়। ময়নাগুড়ির বাসিন্দা পূরণ রাই রেলে চাকরি করতেন। তার মৃত্যুর পর তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা ১৬ লক্ষ টাকা পান মেয়ে চাঁনমনি রাই। পুঁথিগত শিক্ষা না থাকায় সেই অ্যাকাউন্টের যাবতীয় ডিটেইলস তিনি রেখেছিলেন ভাইপোর কাছে। সেই সাথে দিয়েছিলেন এটিএম কার্ডটিও। তাতেই ঘটে যায় বিপত্তি।

আরও পড়ুন:স্যাম পিত্রোদায় রক্ষে নেই দোসর মণিশঙ্কর! প্রবীণ নেতার পাকিস্তান প্রীতি উথলে উঠতেই বিপাকে কংগ্রেস

large image fraud case

কিছুদিন আগেই চাঁনমনি রায় ঠিক করেন, গচ্ছিত টাকা তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে ভাগ করে দেবেন। যে কারণে সবাইকে বাড়িতে আসতেও বলেন তিনি। আর তারপরেই সামনে আসে বিরাট স্ক্যাম। ব্যাঙ্কের পাসবই আপডেট করাতেই জানতে পারেন, অ্যাকাউন্টে মাত্র ৪ লক্ষ টাকা পড়ে আছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক দফায় ১২ লক্ষ টাকা নাকি তুলে নেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় বড় শক পেয়েছেন চাঁনমনি রায়। যে ভাইপোকে এত বিশ্বাস করেছিলেন সেই ভাইপো যে এত বড় ধোঁকা দিতে পারে তা বিশ্বাসও করতে পারছেন না তিনি। এরপরই ময়নাগুড়ি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর