প্রতি বছর গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তীব্র দাপদাহের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে সমগ্র ভারতবাসী আর ধীরে ধীরে বর্ষার দিন গোনা শুরু হয়ে যায়। একফোঁটা বৃষ্টির জন্যে চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকে গোটা দেশবাসী। আমাদের বাংলার কথাই যদি ধরা যায়, তবে বলতে হয় বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে তীব্র গরমে নাজেহাল হয়ে উঠেছিল বঙ্গবাসী। এরপরই কালবৈশাখী ঝড় ও অশনি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে স্বস্তির বৃষ্টি নামে বাংলার প্রতিটি প্রান্তে। আর এরমধ্যেই অপর এক খুশির খবর দিল মৌসম ভবন।
এদিন মৌসম ভবন জানিয়েছে যে, এবছর নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশে প্ৰবেশ করবে বর্ষা। প্রতিবছর মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ কেটে গেলেও বর্ষার দেখা মেলে না। তবে এবছর আগামী 15 ই মের মধ্যে দেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রবেশের সম্ভাবনা জাহির করল মৌসম ভবন। তারা এদিন জানায়, “এবছর মে মাসের 15 তারিখের মধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর হয়ে মৌসুমী বায়ু ভারতে প্রবেশ করতে চলেছে। প্রতি বছরের তুলনায় এ বছর এক সপ্তাহ পূর্বে এই মৌসুমী বায়ু আমাদের দেশে আসবে।”
বাংলা সহ গোটা দেশেই এবছর উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায় তাপমাত্রা। এই পরিস্থিতিতে মৌসুম ভবনের এই খবর দেশবাসীকে স্বস্তি দেবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। তবে এদিন একটি সতর্কবার্তাও জারি করা হয়। ভারতের বহু প্রান্তে তাপপ্রবাহ চলা সহ দিল্লিতে আগামী দুদিনের জন্য হলুদ সর্তকতা জারি করেছে মৌসম ভবন। কি এই হলুদ সর্তকতা?
দেশের বেশ কিছু প্রান্তে বৃষ্টিপাত হলেও অপর কিছু স্থান যথা মহারাষ্ট্র, গুজরাট, রাজস্থান এবং দিল্লিতে তাপমাত্রা 40 ডিগ্রি উপরে বিরাজ করে চলেছে। এমনকি আগামী দিনে এই সকল স্থানে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এরপরই এদিন আগামী দিনে রাজধানীতে হলুদ সর্তকতা জারি করে মৌসম ভবন বলে, “আগামী দুদিন দিল্লিতে তাপমাত্রা 44-45 ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করবে।”