বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বৃহস্পতিবারে জলপথ পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি নিয়ে আইডব্লুএআই পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করলো হুগলি (Hooghly) জেলা প্রশাসনের সঙ্গে। সড়কপথের ভার কমাতে জলপথে পরিবহনে জোর দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। এ কারণে বিভিন্ন রাজ্য একসাথে মিলিত হয়ে বেশ কিছু ফেরিঘাটে পরিকাঠামো গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে। প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক দিক দিয়ে সহায়তা দেবে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। এই হুগলি জেলাতেও একাধিক ফেরিঘাট ঢেলে সাজানো হবে বলে জানা গিয়েছে ।
এই বৈঠক জেলাশাসক কার্যালয়ে হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুক্ত আর্য, অমৃতেন্দু পাল-শহ প্রশাসনের অন্য আধিকারিকেরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিবহন অধিকর্তা দেবাশিস রায়, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বিজন বেসরাও প্রমুখ ছিলেন। এই বৈঠকে সমস্ত প্রকল্পটি বুঝিয়ে বলেন আইডব্লুএআই-এর আধিকারিকেরা।
আইডব্লুএআই সূত্রে জানাগিয়েছে, প্রকল্পের কাজে সহযোগিতার দিক দিয়ে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এনারা ৩টি ফেরিঘাটকে বেছে নিয়েছেন সেগুলি হল, বলাগড় ব্লকের গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাট, চুঁচুড়া-মগরা ব্লকের চন্দ্রহাটি ২ পঞ্চায়েতের শর্মাবাবু ফেরিঘাট এবং বাঁশবেড়িয়া পুরসভার সপ্তর্ষি ফেরিঘাট। যার দ্বারা কেন্দ্রের ‘জল মার্গ বিকাশ’ প্রকল্পে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে লক্ষ্য রেখে ফেরিঘাটে আধুনিক জেটি তৈরী করা হবে। এছাড়াও, শৌচাগার, বিশ্রামাগার, সৌরশক্তি আলো লাগানো হবে এছাড়া আরও প্রয়োজনীয় জিনিসেরও সুযোগ-সুবিধা থাকবে।
মিডিয়া খবর সূত্রে, এই প্রকল্প চলাকালীন আরও কিছু ফেরিঘাটকে সাজানো হবে। যেমন উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ। এই রাজ্যগুলিতেও ওই প্রকল্পের কাজ হবে। এই প্রকল্পের বিষয়ে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জলপথে যদি পরিবহনের সুযোগ বাড়ানো হয় তাহলে যাত্রী সংখ্যাও বাড়বে। এরফলে সড়কপথের চাপও কমবে এবং যানজটও কমবে। এই দিকে লক্ষ্য রেখেই প্রকল্পটি তৈরী করা তাদের আসল উদ্দেশ্য। এই প্রকল্পটি সংশ্লিষ্ট হলে গঙ্গা নদীর দুই পাড়ের মানুষের যাতায়াতের সুবিধা বাড়বে, তার পাশেপাশেই কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরী হবে।
এই প্রকল্প শুরুর আগে ওই ৩ জায়গার এলাকাবাসীদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছিল। প্রকল্পটি হলে তাদের কী কী সুবিধা হবে?। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বিজন বেসরা বলেছেন, ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে প্রকল্পটি নিয়ে কথা বলা হয়েছে। তাঁদের পক্ষ থেকে যা করণীয় হবে তা তারা করবেন। প্রাক্তন উপপ্রধান বিশ্বজিৎ নাগ বলেন, ‘ গত কিছুদিন আগেই আমাদের পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এনওসি ব্লক প্রশাসনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্লক থেকে তা জেলা প্রশাসনের কাছে চলে গিয়েছে’।