বাংলাহান্ট ডেস্ক: পুণ্যলাভ করতে দেশের নানা তীর্থস্থানে যান হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ। এর মধ্যে জম্মুতে অবস্থিত মা বৈষ্ণদেবীর (Maa Vaishno Devi) ধাম অন্যতম জনপ্রিয় তীর্থক্ষেত্র। এখানে প্রতি বছর প্রচুর সংখ্যক মানুষ দেবীর দর্শন করতে যান। ২০২২ সালে এই তীর্থক্ষেত্রে গিয়েছেন রেকর্ড সংখ্যক তীর্থযাত্রী। যা ভেঙে ফেলেছে বিগত ৯ বছরের রেকর্ড। বর্ষবরণের আগের দিনই ২৩ হাজারেরও বেশি মানুষ পৌঁছে গিয়েছেন বৈষ্ণদেবী ধামে।
শ্রী মাতা বৈষ্ণদেবী তীর্থ বোর্ডের সিইও অংশুল গর্গ জানিয়েছেন, ২০২২ সালে মোট ৯১.২৫ লক্ষ তীর্থযাত্রী সেখানে গিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল থেকে তীর্থযাত্রীদের অনলাইনে নিজেদের তথ্য নথিভুক্ত করাতে হয়। সেই সময় থেকে ২০২২ সাল অবধি এটিই এক বছরে সর্বোচ্চ তীর্থযাত্রীর পদার্পণের সংখ্যা। তীর্থ বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ৩১ ডিসেম্বর মোট ২৩ হাজার ১১০ জন তীর্থযাত্রী মন্দিরে গিয়েছিলেন।
একইসঙ্গে গত বছরের জুন মাসে ১১.২৯ লক্ষেরও বেশি যাত্রী মন্দিরে গিয়েছিলেন। ২০২২ সালে বৈষ্ণদেবীতে এটিই এক মাসে সর্বোচ্চ তীর্থযাত্রীর সংখ্যা। এছাড়াও ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৩.৬১ লক্ষ মানুষ মা বৈষ্ণদেবীর দর্শনে গিয়েছিলেন। সেটিই ছিল এক মাসে সর্বনিম্ন তীর্থযাত্রীর সংখ্যা। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ৫.৬৭ লক্ষ মানুষ মন্দিরে গিয়েছিলেন।
তীর্থ বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুসারে, মার্চে ৭.৭৮ লক্ষ, এপ্রিলে ৯.০২ লক্ষ, মে-তে ৯.৮৬ লক্ষ এবং জুলাইতে ৯.০৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ বৈষ্ণদেবীর দর্শনে গিয়েছিলেন। এছাড়াও অগাস্টে ৮.৭৭ লক্ষ, সেপ্টেম্বরে ৮.২৮ লক্ষ, অক্টোবরে ৭.৫১ লক্ষ এবং নভেম্বরে ৬.০১ লক্ষ মানুষ তীর্থ করতে গিয়েছিলেন সেখানে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১ জানুয়ারি বৈষ্ণদেবীতে পদপিষ্ট হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়। পাশপাশি, আহত হন ১৬ জন। তা সত্বেও সেই মাসে ৪.৩৮ লক্ষেরও বেশি ভক্তের সমাগম হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে করোনা চলাকালীন সবচেয়ে কম ভক্ত বৈষ্ণদেবী গিয়েছিলেন। ওই বছর মাত্র ১৭ লক্ষ মানুষ মন্দিরে গিয়েছিলেন। এছাড়াও করোনা পরিস্থিতির কথা ভেবে ৫ মাস মন্দির বন্ধ রাখা হয়েছিল।
এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভক্তের সমাগম হয়েছিল ২০১২ সালে। ওই বছর মোট ১.০৪ কোটি ভক্ত মা বৈষ্ণদেবীর দর্শনে গিয়েছিলেন। এর পরের বছরই তীর্থযাত্রীর সংখ্যা কমে হয় ৯৩.২৪ লক্ষ। এরপরের বছরগুলিতে সেখানে গিয়েছিলেন যথাক্রমে ৭৮.০৩ লক্ষ, ৭৭.৭৬ লক্ষ এবং ৭৭.২৩ লক্ষ মানুষ।