টাকার অভাব? বিক্রি হতে চলেছে পাকিস্তানের সবথেকে দামি বাড়ি! কত দাম উঠল জেনে অবাক হবেন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে ধুঁকছে পাকিস্তান। কিন্তু এর মধ্যেও পাকিস্তানে (Pakistan) বিক্রি হতে চলছে সে দেওয়ার সবচেয়ে দামি বাড়ি। সম্প্রতি এই বাড়িটি বিক্রি করতে চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে কাগজে। এই বাড়িটির আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। তবে ভারতের সবথেকে দামি বাড়ির কাছে এই বাড়িটি কিছুই না।

ভারতের সবথেকে দামি বাড়ি হিসেবে গণ্য করা হয় মুকেশ আম্বানির বাড়িটিকে। মুকেশের অট্টালিকা ‘অ্যান্টিলিয়ার’ দাম প্রায় ১,৫০০ কোটি টাকা। বলা হয় শুধু ভারত নয়, এটি পৃথিবীরও সবথেকে দামি বাড়ি। স্ত্রী নীতা অম্বানী, বড় ছেলে আকাশ, পুত্রবধূ শ্লোকা, ছোট ছেলে অনন্ত, নাতি, নাতনিকে নিয়ে মুকেশ মুম্বাইয়ের এই চার লক্ষ বর্গফুটের বাড়িতে থাকেন। 

   

আরোও পড়ুন : জ্বালানি তেল শোধনাগার তৈরীতে ভারতকেই পাশে চায় সৌদি আরব! বিনিয়োগের অর্থ শুনলে চমকে উঠবেন

মুকেশের এই বিলাসবহুল বাড়ির উচ্চতা ৫৭০ ফুট। অ্যান্টিলিয়ার নকশা এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে যাতে এটি তীব্র ভূমিকম্পতেও ভেঙে পড়বে না। অত্যাধুনিক জিম, স্পা, বিউটি পার্লার, বলরুম, তিনটি সুইমিং পুল, ৫০ আসন বিশিষ্ট সিনেমাহল এই বাড়িটির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। নটি লিফট ও তিনটি হেলিপ্যাড রয়েছে এই বাড়িতে।

আরোও পড়ুন : জঙ্গলপ্রেমীদের জন্য সুখবর! খুলছে ডুয়ার্সের জাতীয় উদ্যানগুলি, সাফারির সময় মেনে চলুন এই টিপসগুলি

পাকিস্তানের এই বিলাসবহুল বাড়িটির সামনে রয়েছে বিশাল বাগান ও তার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু ফোয়ারা। মরক্কো শৈলীর বাতিস্তম্ভ লাগানো রয়েছে সেই বাগানে। এছাড়াও এই বাড়িটিতে রয়েছে গাড়ি রাখার গ্যারাজ, সুইমিং পুল, জিম, থিয়েটার, সবই । এই বাড়িটিতে আড্ডা দেওয়ার জন্য রয়েছে আলাদাভাবে একটি খোলা ছাদ ও একটি ঢাকা ছাদ।

1694508124 3

দশটি বিলাসবহুল বেডরুম রয়েছে এই বাড়িটিতে। এক একটি ঘরের নকশা এক এক রকম। একসাথে ২০০ জন অতিথি বসতে পারেন এই বাড়িটির হলরুমে। এই বাড়ির প্রত্যেকটি বেডরুমে লাগানো রয়েছে বিভিন্ন নকশার ঝাড়বাতি। একটি পানশালা রয়েছে বাড়ির পিছনে। তার সাথে রয়েছে একটি সুইমিং পুল। ইটালি ও স্পেন থেকে আমদানি করা বিভিন্ন পাথরের মূর্তি রয়েছে ঘরগুলিতে।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর