বাংলাহান্ট ডেস্ক: সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে ঠাসা শহরাঞ্চল। দিন দিন উন্নত হচ্ছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা (Healthcare)। অথচ শহর ছাড়িয়ে একটু গ্রামের দিকে যান, সেখানে ধরা পড়বে সম্পূর্ণ অন্য চিত্র। বেশিরভাগ জায়গায় নার্সিংহোম তো দূর, সরকারি হাসপাতালের জন্যও কয়েক কিমি উজিয়ে যেতে হয়।
ভরসা বলতে গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র (Health Center)। সেখানেও আবার অনেক জায়গায় ডাক্তারই আসেন না। বাধ্য হয়ে ছোটখাট অসুখে গ্রামের মানুষরা ছোটেন হাতুড়ে ডাক্তারদের (Quack Doctor) কাছে। দরিদ্র গ্রামবাসীর আপদে বিপদে তাঁরাই ভরসা। যদিও একটা বড় ভয়ের কারণ থেকেই যায়। এই হাতুড়ে ডাক্তাররা আসলে পাশ না করা চিকিৎসক। শহরে তাঁদের কদর নেই। কিন্তু গ্রামে এঁরাই বাসিন্দাদের কাছে ঈশ্বর স্বরূপ।
বেশিরভাগ গ্রামেই ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা। পাশ করা ডাক্তারের আকালের জন্য বিপদের আশঙ্কা দূরে সরিয়ে রেখেই গ্রামীণ চিকিৎসকদের কাছে ছুটে যান বাসিন্দারা। যদিও এই চিকিৎসকদের হাতুড়ে বা কোয়াক তকমা দিতে নারাজ শহরের কয়েকজন বিশিষ্ট চিকিৎসক।
চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরীর মতে, এই ধরনের বিশেষণগুলো উপর তলার মানুষদের পিছিয়ে পড়া মানুষদের প্রতি যে দৃষ্টিভঙ্গি তার পরিচয় দেয়। তাঁর কথায়, “শিক্ষিত, উন্নাসিকরা এই শব্দগুলো তৈরি করেছেন। যাঁরা দরিদ্র, পিছিয়ে পড়া মানুষের স্বাস্থ্যের প্রয়োজনটুকু মেটায়, তাঁদের নিয়ে।”
আরেক বিশিষ্ট চিকিৎসক স্থবির দাশগুপ্ত হাতুড়ে ডাক্তার শব্দটিকে নিয়েই আপত্তি প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, এই কথাটা খুব অপমানজনক। বরং পাশ না করা ডাক্তার বলা যায়। যদিও তাঁদের ঠিক চিকিৎসক বলা যায় না। তবে গ্রামের মানুষরা তাঁদের চিকিৎসকেরই সম্মান দিয়েছেন।
বিভিন্ন গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলি সরেজমিনে দেখে এই তথ্যগুলি সামনে এনেছে TV9 বাংলা। আর এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েই তথ্যগুলি আরো ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাহান্ট। তাদের এই অভিনব উদ্যোগ সত্যিই অনেক দুঃস্থ মানুষকে সুস্থ করে তুলবে।