বৰ্তমানে বিজ্ঞাপন এমন ভাবে মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে যে নিত্যজীবনের রুটিন অবধি বদলে যায়। জল নিয়ে ব্যাবসা করা কোম্পানিরা এখন বিজ্ঞাপনের দ্বারা মানুষকে অতিরিক্ত জল পানে বাধ্য করে তুলছে। তবে বিজ্ঞান মতে কোনো বিষয় অতিরিক্ত ভালো নয়।
জল (Water) শরীরের জন্য উপকারী কিন্তু বেশি জল খাওয়া আবার শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর. বেশি জল খাওয়ার ফলে কিডনির ওপর চাপ বেড়ে যায়। কিডনিকে এই বিপুল পরিমাণ জল পরিশোধন করতে হয়, তখন কিডনির ক্ষতি হয়. জল বেশি খেলে মস্তিষ্কের নিউরোনগুলো স্ফীত হয়ে কোমা, ব্রেন স্ট্রোক হতে পারে. এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বেশি জল খাওয়ার ফলে।
খুব বেশি জল খেলে কিডনির ভেতরকার গ্লোমেরুলাসগুলো ফুলে যায় আর এর ফলে কিডনি খারাপ হয়ে যেতে পারে. সেইদিকে নজর রাখা দরকার। যদি আপানার জল খাওয়া বেশি হচ্ছে তাহলে অবস্যই টিফিন সময়ে মুড়ি খান। মুড়ি অতিরিক্তি জলকে নিয়ন্ত্রনে ব্যাপক কাজ করে।
গরমে আড়াই থেকে তিনলিটার জল খাওয়া দরকার। কারণ গরমে আমাদের দেহে জলের চাহিদা খুব বেড়ে যায়. যশারীরিক পরিশ্রম বেশি করে, জিম করে, খেলাধুলো করে, তাঁরা একটু বেশিই জল খেলে ভালো হয়. আর যদি কারো কিডনিতে পাথর থাকে তার ক্ষেত্রে বেশি জল খাওয়া দরকার। শীতকালে জল কম খেলে পায়ে টান ধরে, দেহে জলের পরিমান কমে যায় , ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়. সেদিকে নজর রেখে জল খেতে হবে. তবে গরমে কতটা জল খেতে হবে তা আগেই বলা ভালো আট থেকে প্রায় নয় গ্লাস.সকালে খালি পেতে জল খাওয়া দরকার. আমাদের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে অ্য়ান্টি ডায়াবেটিক হরমোন নিঃসৃত হয়। তাই যতটা প্রয়োজন হয়, তেষ্টা পায়, ততটা জল খাওয়া দরকার. তার বেশি খেলে ক্ষতি হয়.