রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) হাত ধরেই তৃণমূলে এসেছিলেন মৌসম বেনজির নুর (mousam benjir noor) । এবার শুভেন্দুর বিদায়ের পর ১০০ শতাংশের চ্যালেঞ্জ করলেন তিনি। মোদি সরকারের কৃষি বিল সহ নানান ইস্যুতে ডাকা তৃণমূল যুবর এই জনসভা থেকে শুভেন্দুর সমালোচনায় সরব হলেন মৌসম। পাশাপাশি এই সভা থেকেই আওয়াজ উঠল ‘মিরজাফর’, ‘গদ্দার’, ‘শুভেন্দু অধিকারী দূর হঠো’ এর মতো স্লোগান।
এদিন দুপুর একটায় শুরু হয় তৃণমূল যুবর এই মিছিল। মালদার বিভিন্ন এলাকা ঘোরা এই মিছিলে এতটাই জলপ্লাবন হয় যে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে মালদা শহরের একাংশ। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৌসম বেনজির নূর, ইংরেজবাজার টাউন তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি, দলের জেলার কো-অর্ডিনেটর বাবলা সরকার, অম্লান ভাদুড়ি, মানব বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলার মহিলা সভানেত্রী চৈতালি সরকার, প্রাক্তন কাউন্সিলর কাকলি চৌধুরী সহ প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র এবং কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী।
কৃষিবিলের প্রতিবাদে এই সভা হলেও শেষ পর্যন্ত তা পর্যবসিত হয় শুভেন্দুর সমালোচনা সভায়। পাশাপাশি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া বিধায়ক দিপালী বিশ্বাসের সমালোচনায়ও মুখর হন নেতা নেত্রীরা। তৃণমূলের মালদা জেলার মহিলা সভানেত্রী চৈতালি সরকার এই সভায় ভারতীয় জনতা পার্টিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, শুভেন্দুবাবুদের মতো লোক নিয়ে সাবধানে ঘোরা ফেরা করবেন। এরা যে কোনো সময় ছোবল দিতে পারে।
স্বভাবতই এই সভার অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন মৌসম বেনজির নুর। তিনি বলেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে দল করেন। যে সব সুবিধাবাদী নেতা নেত্রী সময় বুঝে ঝাঁপ মারে তাদের তৃণমূলে প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি বিজেপি ও শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন, ”মালদায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সবকটি আসন তৃণমূলের দখলে থাকবে।”