বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় একের পর এক দুর্নীতি মামলা ক্রমশ উঠে চলেছে। এই সকল কাণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) মন্ত্রীদের নাম সামনে উঠে এসেছে। এমনকি, সম্প্রতি পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হয়েছেন আর এর মাঝেই গতকাল রাজ্যে মোট ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলেও ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি। তবে অপরদিকে, বকেয়া ডিএ নিয়ে কোনো রকম মন্তব্য করতে নারাজ সরকার। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এদিন সরকারের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন বিরোধী দলগুলি। এমনকি, সরকারি কর্মচারীরাও ক্ষুব্ধ বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, আগের দুই বছর পঞ্চাশ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হলেও এ বছর সেই অঙ্ক বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর এদিন বকেয়া ডিএ-র প্রসঙ্গ তুলে ধরেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, “বাংলার পরিস্থিতি বর্তমানে রোমান সাম্রাজ্যের মতো হয়ে গিয়েছে। স্বৈরতান্ত্রিকরা বর্তমানে তাদের প্রজাদের আমোদ এবং নেশায় ডুবিয়ে রাখার চেষ্টায় রয়েছে। লুঠ এবং দুর্নীতির হাত থেকে সকলের নজর ঘোরানোর জন্য এই আয়োজন। ধর্মীয় উৎসবকে বর্তমানে সরকার কাজে লাগানোর রাজনীতিতে মত্ত।”
তিনি আরো বলেন, “অতীতে ক্লাব সংস্কৃতি স্বনির্ভর থাকলেও বর্তমানে সরকার তাদের নির্ভরশীলতা বাড়ানোর প্রচেষ্টায় রয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের দিয়ে বকেয়া ডিএ পড়ে রয়েছে। সেই প্রসঙ্গে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না সরকার।”
তৃণমূলের অনুদান প্রসঙ্গে এদিন মুখ খুলেছেন বিজেপি নেতা শমিক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “রাজ্যে উন্নয়নের দেখা না থাকলেও অনুদানে কোন ঘাটতি নেই। সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়া হয় না, হাসপাতাল থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক ক্ষেত্রে টাকার অভাব। তা সত্ত্বেও ক্লাবগুলোকে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করছে সরকার। বর্তমানে মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তার থেকে ক্লাব তাদের কখনোই বাঁচাতে পারবে না।”
তবে শুধু বিরোধীরাই নয়, আগামী ৩০শে আগস্ট বামপন্থী সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের তরফ থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা করা হয়েছে। ওই দিন দু’ঘণ্টা ধরে প্রতিবাদ জানাবে কর্মীরা। এ প্রসঙ্গে সংগঠনের এক নেতা জানান, “সরকার উৎসব, ফুর্তি ও মোচ্ছব নিয়ে চলছে। আমাদের ডিএ বাকি থাকলেও সেই নিয়ে কোনো পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবো।”