৭০০ বছর পুরনো ষাঁড়েশ্বর মন্দিরের সংস্কার করতে চান সাংসদ সৌমিত্র খাঁ! সংস্কৃতি মন্ত্রীকে লিখলেন চিঠিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের (Bishnupur) এক অতি প্রাচীন মন্দির হল বিখ্যাত ষাঁড়েশ্বর বাবার মন্দির। দীর্ঘ দিন ধরেই এই মন্দির পড়েছিল নিতান্তই অযত্নে। মাঝে একবার শুরু হয় প্রায় ৭০০ বছরের পুরনো এই মন্দিরের সংস্কারের কাজ। কিন্তু বেশ কিছু কারণে তাও থেমে যায়। পরে আবার তা শুরু হল বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র (Soumitra Khan) প্রচেষ্টায়।

নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ষাঁড়েশ্বর বাবার মন্দির সংস্কারের কথা ঘোষণা করেন। তিনি এদিন লেখেন, ‘মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরে বিখ্যাত ষাঁড়েশ্বর বাবার মন্দির। ৪০০ বছর পর এই মন্দিরের কাজ আবার শুরু হল। এই মন্দিরের সংস্কার ও সৌন্দর্যের কাজ যাতে দ্রুত হয় তাঁর জন্য কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডিকে পুনরায় আবার চিঠি প্রদান করলাম। মন্দিরে যাতে আলো এবং শব্দের কাজ করা হয় তাহার সু-ব্যাবস্থা করছি। বিষ্ণুপুর কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমার দৃঢ় সংকল্প। জয় বাবা ষাঁড়েশ্বর!’

বিষ্ণুপুর শহর থেকে কিছুটা দূরে দারকেশ্বর নদের তীরে থাকা ডিহর গ্রামের মধ্যেই রয়েছে ল্যাটেরাইট পাথরের এক জোড়া মন্দির। এই মন্দিরগুলিই ষাঁড়েশ্বর ও শৈলেশ্বর মন্দির নামে পরিচিত। ইতিহাস বলছে বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজা পৃথ্বিমল্ল ১৩৪৬ খ্রিষ্টাব্দে এই জোড়া মন্দির নির্মাণ করেন। ডিহরের এই জোড়া মন্দিরের প্রত্নতাত্বিক গুরুত্ব উপলব্ধি করে আর্কিলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া মন্দির দুটিকে অধিগ্রহণ করে।

এর আগেও ষাঁড়েশ্বর মন্দিরে যজ্ঞ করেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। মূলত, করোনা মুক্তির পাশাপাশি শাসক তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধেই এই যজ্ঞ বলে জানান তিনি। সৌমিত্রবাবু তখন বলেন, ‘প্রতিদিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। রাজ্য সরকার এব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে পারছে না। আবার শাসক দল ক্রমাগত আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তারই জন্যই যজ্ঞ।’


Sudipto

সম্পর্কিত খবর