সাময়িক সাসপেন্ড হওয়ার পর কী কী সুবিধা হাতছাড়া হল বিরোধী সাংসদদের? জারি সার্কুলার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা (Loksabha) এবং রাজ্যসভা (Rajya Sabha) মিলিয়ে গতকাল পর্যন্ত শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড বিরোধী শিবিরের ১৪১ জন সাংসদ (Opposition MP’s)। তিন দিনেই সংসদ থেকে সাসপেন্ড (Suspended) ১৪১। মঙ্গলবার সংসদের নিম্নকক্ষে ৪৯জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার পর একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে লোকসভার সচিবালয় থেকে। সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর কী কী সুবিধা পাবেন না সাংসদরা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে সেই সার্কুলারে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, সাংসদের সাসপেশনের সময়কালের জন্য সংসদের নির্দিষ্ট চেম্বার, লবি এবং গ্যালারিতে প্রবেশ করতে পারবেন না ওই সকল সাসপেনডেড সাংসদদেরা। সার্কুলারে সাফ জানানো হয়েছে, ‘সংসদরা পার্লামেন্টারি কমিটিতে রয়েছেন, সেই কমিটি তাদের নামে কোনও কার্যবিধি রাখতে পারবে না।’

এখানেই শেষ নয়, জারি করা সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, ‘সাসপেনশনের সময় সেই সকল সাংসদদের উত্থাপিত কোনও নোটিশই গ্রহণযোগ্য নয়। এই সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত কমিটির নির্বাচনে ভোটদানেও অংশ নিতে পারবেন না তারা। পাশাপাশি অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য তারা দৈনিক ভাতাও পাবেন না।

লোকসভা ও রাজ্যসভায় দফায় দফায় সাসপেন্ড বিরোধী শিবিরের সাংসদদেরা। গত বুধবার সংসদে হামলার ঘটনা, আর সেই ইস্যুতেই ক্রমশ্য উত্তপ্ত পরিস্থিতি। সোমবার একদিনে সাসপেন্ড হন ৭৮ জন বিরোধী সাংসদ। লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) তৃণমূল সহ একাধিক বিরোধী দলের মোট ৩৩ জন সাংসদ। ওদিকে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড বিরোধী দলের ৪৫ জন সাংসদ। এই ঘটনা নিয়ে যখন ক্রমশ্য চড়ছে রাজনীতির পারদ সেই সময় মঙ্গলে ফের সংসদে সাসপেন্ড করা হয় ৪৯ জন বিরোধী সাংসদকে।

আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে বিরাট মোড়! এবার এই তৃণমূল নেতাকে তলব ED-র, আরও বিপাকে পার্থ

শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে জারি সাসপেনশন। বুধবার সংসদে হামলার ঘটনার পর থেকেই উত্তাল সংসদের দুই কক্ষ। লোকসভায় ঝাঁপ কাণ্ডে সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে গেছে বলে মনে করছেন বিরোধীরা। তাই এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর বিবৃতি দাবি করেছেন তারা। এরই মাঝে সংসদে অসংবিধানিক আচরণের অভিযোগে মঙ্গলবারও সাসপেন্ড করা হল বিরোধী সাংসদদের।

parliament b

প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এই শেষ অধিবেশন। আর সেই অধিবেশন শেষ হওয়ার আগে দলে দলে সাসপেনশন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মোদী সরকারকে কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধীরা। ঘটনার বিরোধীতা করে মঙ্গলবার সকাল থেকেই সংসদ চত্বরে গাঁধীমূর্তির সামনে প্রতিবাদ নেমেছে বিরোধীরা। আজ সংসদের সিঁড়িতে অবস্থানে বসে ইন্ডিয়া জোট।

সাসপেনশন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) বলেন, ‘সেঞ্চুরিয়ান মোদী পার্লামেন্ট থেকে আগামী দিনে বিরোধী বলে কোন সাংসদ যারা বলার ইচ্ছা রাখে সেইরকম কোন সাংসদের অস্তিত্ব পার্লামেন্টের মধ্যে তিনি রাখবেন না।’

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর