বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। পাশাপাশি, তিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (RIL) চেয়ারম্যানও। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তিনি টানা চতুর্থ বছর কোম্পানি থেকে কোনও বেতন নেননি। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মুকেশ আম্বানি ২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকে কোনও বেতন নিচ্ছেন না। ৬৭ বছর বয়সী এই ধনকুবের করোনার মতো ভয়াবহ মহামারীর সময় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল কঠিন সময়ে কোম্পানিকে সমর্থন করা।
রিলায়েন্স থেকে বেতন নেন না মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani):
এদিকে, মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) ২০০৮-০৯ থেকে ২০১৯-২০ পর্যন্ত তাঁর বার্ষিক বেতন ১৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছিলেন। এরপর থেকে তিনি কোনও বেতন, ভাতা, সুযোগ-সুবিধা বা অবসরকালীন সুবিধা পাননি। সর্বশেষ বার্ষিক রিপোর্ট অনুসারে, আম্বানি ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্যও বেতন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত অব্যাহত রেখেছেন। জানিয়ে রাখি যে, মুকেশ আম্বানি হলেন বিশ্বের ১১ তম ধনী ব্যক্তি। তিনি ১৯৭৭ সাল থেকে রিলায়েন্সের বোর্ডে রয়েছেন। ২০০২ সালে তাঁর বাবা ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যুর পর মুকেশ চেয়ারম্যানের পদ গ্রহণ করেন। গত বছর, তিনি ২০২৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ৫ বছরের জন্য পুনরায় চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। এই সমগ্র সময় জুড়ে তিনি কোনও বেতন নেবেন না।
পরিবার ডিভিডেন্ড থেকে আয় করেছে ৩,৩২২.৭ কোটি টাকা: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বর্তমানে মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) মোট সম্পদের পরিমাণ হল ১০৯ বিলিয়ন ডলার। তিনি এবং তাঁর পরিবার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের ৫০.৩৩ শতাংশের মালিক। তিনি ২০২৩-২৪ সালে কোম্পানি থেকে শেয়ার প্রতি ১০ টাকা হারে ডিভিডেন্ড হিসেবে ৩,৩২২.৭ কোটি টাকা আয় করেছেন।
যদিও মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) কোনও বেতন না নিলেও অন্য বোর্ড সদস্যদের রেমুনেশন বেড়েছে। আম্বানির খুড়তুতো ভাই নিখিল এবং হিতাল মেসওয়ানি ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে যথাক্রমে ২৫.৩১ কোটি টাকা এবং ২৫.৪২ কোটি টাকা পেয়েছেন। এদিকে, এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর পিএমএস প্রসাদের পারিশ্রমিক গত বছর ১৩.৫০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১৭.৯৩ কোটি টাকা হয়েছে।
আরও পড়ুন: GDP বৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশে বজায় রাখল RBI, মুদ্রাস্ফীতি থেকে মিলবে মুক্তি? কি জানালেন গভর্নর?
নীতা আম্বানি ও সন্তানদের পারিশ্রমিক কত: এবারে আসি মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) স্ত্রী নীতা আম্বানি এবং তাঁদের সন্তানদের বেতনের প্রসঙ্গে। নীতা আম্বানি ২০২৩ সালের অগাস্ট পর্যন্ত একজন নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ছিলেন। তিনি ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য সিটিং ফি হিসেবে ২ লক্ষ টাকা এবং কমিশন হিসেবে ৯৭ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। এদিকে, তাঁদের সন্তান ইশা, আকাশ এবং অনন্ত গত বছরের অক্টোবরে বোর্ডে নিযুক্ত হয়েছিলেন। তাঁরা সিটিং ফি হিসেবে ৪ লক্ষ টাকা এবং কমিশন হিসাবে ৯৭ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: Reliance গ্রাহকদের খুলল কপাল! এক্কেবারে জলের দরে ৩৩৬ দিনের নতুন রিচার্জ প্ল্যান সামনে আনল Jio
অন্যান্য নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আদিল জয়নুলভাই, রামিন্দর সিং গুজরাল, শুমিত ব্যানার্জী, প্রাক্তন SBI চেয়ারপার্সন অরুন্ধতী ভট্টাচার্য, কে ভি চৌধুরী, কে ভি কামাথ, এবং ইয়াসির ওথমান এইচ আল রুমায়ানকে (সৌদি সোভেরন ওয়েলথ ফান্ড নমিনি) কমিশন এবং সিটিং ফি বাবদ ২.৫ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছিল।