বাংলা হান্ট ডেস্ক: “অপারেশন সিঁদুর”-এর মাধ্যমে যোগ্য জবাব পেয়েছে পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, ভারতের এই অভিযান পড়শি দেশকে যথেষ্ট ধাক্কা দিয়েছে। এদিকে, এই সামরিক সংঘাতে তুরস্ক (Turkey) প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিল। যা ওই দেশের জন্য এখন ব্যয়বহুল প্রমাণিত হচ্ছে। আসলে পাকিস্তানকে সমর্থন করার পর, ভারত জুড়ে তুরস্কের বিরোধিতা বাড়ছে। “বয়কট তুরস্ক”-র আবহে ফ্লিপকার্ট-এর Myntra এবং রিলায়েন্সের মালিকানাধীন Ajio তাদের ওয়েবসাইটে তুরস্কের ব্র্যান্ডের পোশাক বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে।
তুরস্ককে (Turkey) যোগ্য জবাব দিলেন আম্বানি:
এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ইতিমধ্যেই Myntra তুরস্কের (Turkey) প্রতিটি ব্র্যান্ডের পোশাক বিক্রয় সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে Trendyol-এর মতো সংস্থা। যার মালিক হল Alibaba। এই সংস্থার ভারতীয় বাজারে একচেটিয়া অধিকার রয়েছে। এদিকে, রিলায়েন্স তার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম Ajio-তে বিক্রি হওয়া LC, Kotton, Waikiki এবং Mavi-র মতো তুরস্কের পোশাক ব্র্যান্ডের পোর্টফোলিও বাতিল করেছে। যার কারণে এখন সেগুলি “আউট অফ স্টক” আউট দেখাচ্ছে।
বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিলায়েন্স: জানিয়ে রাখি যে, ইতিমধ্যেই রিলায়েন্স রিটেইল জানিয়েছে যে, তারা দেশের স্বার্থকে সর্বাগ্রে রাখার প্রতিশ্রুতিতে দৃঢ় রয়েছে। এই প্রসঙ্গে রিলায়েন্সের মুখপাত্র বলেছেন যে, “আমরা তুরস্কে (Turkey) আমাদের অফিস বন্ধ করে দিয়েছি।” উল্লেখ্য যে, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ পাঁচ বছর আগে একটি টেকসই পোশাক ব্র্যান্ড তৈরি করার লক্ষ্যে তুরস্কের টেক্সটাইল কোম্পানি কিভাঙ্ক টেক্সটাইলের সাথে অংশীদারিত্ব করেছিল। রিলায়েন্সের মুখপাত্র বলেছেন যে, এই অংশীদারিত্ব অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: আর নয় অপেক্ষা! শীঘ্রই হাওড়া-দিল্লি রুটে চালু হবে বন্দে ভারত স্লিপার, যাত্রীদের জন্য এল সুখবর
এদিকে, এই ঘটনার সাথে জ্ঞাত একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, তুরস্কের (Turkey) ব্র্যান্ডগুলি অপসারণের প্রক্রিয়া কয়েকদিন আগে শুরু হয়েছিল এবং শুক্রবার ব্র্যান্ডগুলি সম্পূর্ণরূপে অপসারণ করা হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে যে, অ্যামাজন এখনও ভারতে তুরস্কের পোশাক এবং লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড বিক্রি করছে। শুক্রবার, দেশজুড়ে ১২৫ জনেরও বেশি ট্রেড লিডার্স তুরস্কে এবং আজারবাইজানের সাথে ভ্রমণ ও পর্যটন সহ সকল ধরণের বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বর্জনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়েও “বয়কট তুরস্ক”-র ডাক তোলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার মত একাধিক ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় নিরাপত্তার উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে তুরস্কের (Turkey) প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে তাদের অ্যাকাডেমিক সমঝোতা স্মারক (MoU) স্থগিত করেছে।
দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও: