বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলে (tmc) ফিরতেই মেতে উঠলেন পুরনো নেশায়, দল ভাঙনের খেলা শুরু করলেন মুকুল রায় (mukul roy)। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বিজেপির (bjp) সর্বভারতীয় সভাপতি থাকলেও, বেলা গড়াতেই বিকেলে হলেন তৃণমূল সদস্য। গতকালই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে আবারও পুরনো ঘরে ফিরলেন মুকুল রায়। আর ঘরে ফিরতেই মেতে উঠলেন পুরনো খেলায়, অর্থাৎ ‘দল ভাঙানোর খেলা’য়।
বিজেপি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের এক সাংসদ ও প্রায় ১০ জন বিধায়ককে গতকাল রাতেই ফোন করেন মুকুল। ফোনের ওপ্রান্ত থেকে বিজেপি সাংসদ এবং বিধায়কদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বানও জানান তিনি। মুকুল রায়ের থেকে ফোন পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই দলের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্ত বিষয়টা জানিয়েছেন অনেকেই।
জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি, হুগলি, পুরুলিয়া, দক্ষিণ দিনাজপুর, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং কোচবিহারের বিধায়কদের ফোন করেছিলেন মুকুল রায়। তবে এর মধ্যে দলকে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি, হুগলির বিধায়করা। তবে বাকি বিধায়করা কিছু না জানলেও, মুকুল রায় পুরুলিয়ায় যে দুজন বিধায়ককে ফোন করেছিলেন, তারাও দলকে সবটা জানিয়েছেন। বর্তমানে দলে বড় ভাঙ্গন ধরে গেলেও, বাকিদের আটকাতে বদ্ধ পরিকর গেরুয়া শিবির।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের পর থেকেই কিছুটা ছাড়া ছাড়া ভাব দেখা গিয়েছিল বিজেপির সঙ্গে মুকুল রায়ের। শপথ বাক্য পাঠ করলেও, বিজেপির বৈঠকে যোগ দেননি তিনি। তারপর আবার মুকুল রায়ের অসুস্থ স্ত্রীকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়। আর তারপর থেকেই জলঘোলা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার তৃণমূলের উত্তরীয় পরিয়ে মুকুল রায়কে সবুজ শিবিরে স্বাগত জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।