বাংলা হান্ট ডেস্ক : একুশের নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জিতে প্রথমবার বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। এরপর পালাবদল না হওয়ায় ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে ফের তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়। তারপর কেটে গিয়েছে দুই বছর। রায়সাহেবকে নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে হয়েছে চরম জলঘোলা। তবে, শারীরিক পরিস্থিতি ভালো না হওয়ায় তিনি আপাতত লোকচক্ষুর আড়ালেই রয়েছেন।
তবে হঠাৎ করে শিরোনামে উঠে এসেছেন মুকুলবাবু। কৃষ্ণনগরের বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা মুকুল রায় নিখোঁজ। আজ সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় তেমনই দাবি করেছেন তাঁর ছেলে তথা বীজপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়।
শুভ্রাংশু সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘বিকেলে দুটো ছেলে বাবাকে নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। কোথায় নিয়ে গেছে জানি না। আমি এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’ শুভ্রাংশু জানান, বীজপুর থানাতেও অভিযোগ দায়ের করবেন তিনি। শুভ্রাংশু যে অভিযোগ করেছেন, তার সহজ অর্থ হল, তাঁর বাবাকে কেউ অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে।
তবে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা মুকুল রায় পরিকল্পিত ভাবেই দিল্লিতে গিয়েছেন। কেউ কেউ আবার দাবি করছেন বিজেপিতে ফিরতে পারেন মুকুল রায়। উনি নাকি একটি ফাইল নিয়ে দিল্লি গিয়েছেন, সেখানে নাকি অনেক তথ্য আছে! এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে, শুভ্রাংশু বলেন, ‘আমি কিচ্ছু জানি না। দিল্লিতে নিয়ে গেছে না অন্য কোথাও তাও জানি না। সেই জন্য পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি।’
জল্পনা রটেছে যে, অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন মুকুল রায়। এরপর বিজেপিতে যোগদান, এবং পরবর্তীকালে আরো কিছু বিধায়ক টেনে আনা। উল্লেখ্য, পুরোনো বছরের শেষ দিন বীরভূমে সভা করতে এসে অমিত শাহ দাবি করেছেন যে, তৃণমূলের সরকার খুব শীঘ্রই পড়ে যাবে। অমিত শাহের এই দাবির পর আজ মমতা ব্যানার্জি সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন।
তবে মুকুল রায়কে নিয়ে ছড়ানো জল্পনা কতটা সত্যি, মিথ্যা সেই নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। জল্পনা সত্যি হলে বঙ্গ রাজনীতিতে ফের বড়সড় একটা ভূমিকম্প দেখা যাবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।