বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অবশেষে জল্পনার অবসান ভারতীয় জনতা পার্টি ছেড়ে ফের একবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন মুকুল রায়। বিজেপিতে না থাকতে পেরেই চলে এসেছি একথাও জানালেন তিনি। কিন্তু কেমন আছেন সেই মানুষটি যাকে কেন্দ্র করে নতুন করে দ্বন্দ্ব শুরু হয় বিজেপি এবং মুকুলের মধ্যে। সেই মানুষটির নাম কৃষ্ণা রায়। অর্থাৎ তিনি মুকুল পত্নী। দল ছাড়ার আশঙ্কা হয়তো শুরু থেকেই ছিল। তবে এক প্রকার কৃষ্ণা রায়কে কেন্দ্র করেই তা আরেকবার নতুন করে রাজ্য রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে।
মুকুল এবং তার স্ত্রী কৃষ্ণা একইসঙ্গে দুজনেই কোভিড আক্রান্ত হন। মুকুল সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও এখনো অ্যাপোলো হাসপাতালে রয়েছেন কৃষ্ণাদেবী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অসুস্থ হবার পর থেকে দলের কেউ সেভাবে খোঁজ নেননি। আর তাতেই অভিমানী শুভ্রাংশু বলেছিলেন, “এইযে বাবার কোভিড হয়েছে দলের কেউ খোঁজ নিয়েছে?বলা হয় দল একটা পরিবার। এই তার নমুনা? আমার মা ১৫ দিনের বেশি হাসপাতালে ভর্তি কেউ কোনো খোঁজ নেয়নি।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অসুস্থ মুকুল পত্নীকে দেখতে গিয়েই শুভ্রাংশুর সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল ঘরে ফেরার জল্পনা। তবে রাজনীতিতে একদিকে যখন ‘ঘর ওয়াপাসি’র আনন্দ, তখন অন্যদিকে শরীর খুব একটা ভালো নয় মুকুল পত্নী কৃষ্ণা রায়ের। জানা গিয়েছে, ফুসফুস প্রতিস্থাপন করতে হবে তার। একইসঙ্গে কোডিড আক্রান্ত হলেও রোগের প্রভাব আরো বেশি মারাত্মক হয়ে ওঠে কৃষ্ণাদেবীর শরীরে।
যার জেরে প্রথম থেকেই ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয় তাকে। পরে অবশ্য শারীরিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেশনের সাহায্য নিতে হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখন ফুসফুস প্রতিস্থাপন ছাড়া আর কোন উপায় নেই। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আপাতত একমো সাপোর্টে চিকিৎসা চলছে তার। তবে খুব শীঘ্রই তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সাহায্যে চেন্নাইতে নিয়ে যাওয়া হবে। আপাতত কোনো ব্রেন ডেথ হওয়া রোগীর ফুসফুসের খোঁজ চলছে বলেও খবর। হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুস দুটোই খারাপ হয়ে গেলে একমোর সাহায্যে বাঁচিয়ে রাখা হয় রোগীকে। এখন মুকুল পত্নীর ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি ব্যবহার করছেন চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে চেন্নাইতে এমজিআর মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে চিকিৎসা করানো হবে কৃষ্ণা দেবীর। তাই একদিকে যখন প্রায় চার বছর পরে ঘরে ফেরার আনন্দ তখনই অন্যদিকে রয়ে গেল ব্যথার রেশ।