বাংলাহান্ট ডেস্ক : পোষ্য। ছোট্ট একটা শব্দ। তবুও বহু নাগরিকের জীবনেই পোষ্য যেন এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আসলে, মানুষের মানসিক ঘাটতি পূরণ করে পোষ্য। তবে, এবার একটি ডিভোর্স (Divorce) মামলায় পোষ্য সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় প্রকাশ্যে এসেছে। এক পঞ্চান্ন বছর বয়সী মহিলা তার সারমেয়দের জন্য স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণের দাবি জানিয়েছেন।
মহিলার দাবি শোনার পর মুম্বাই আদালতের (Mumbai Court) তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পোষ্য প্রাণীরাও মানুষের রোজকার জীবনধারার সঙ্গে যুক্ত । আদালত বলেছে, বিবাহ বিচ্ছেদের পর যে মানসিক অস্বস্তি তৈরি হয়, তার অনেকটাই পূরণ করছে এই সারমেয়গুলি। তাই আদালত স্বামীর ভরণপোষণের পরিমাণ কমানোর আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।
আদালতে যুক্তি শোনার পরেই ওই মহিলার স্বামী বলেন যে তার ব্যবসায় লোকসান চলছে। অপরদিকে মহিলা দাবি করেন যে তার তিনটি রটউইলার পোষ্য রয়েছে। বান্দ্রা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোমল সিং রাজপুত বলেছেন, “স্বাস্থ্যকর জীবনধারার একটি অঙ্গ পোষ্য। অনেক সময় পোষ্যরা মানসিক ঘাটতি পূরণ করে। তাই ভরণপোষণের পরিমাণ কমানোর প্রশ্নই ওঠে না।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৫৫ বছর বয়সী ওই মহিলা আদালতে তার স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ হিংসার অভিযোগ আনেন। মাসিক ৭০ হাজার টাকা ভরণপোষণের আর্জি জানানো হয় আদালতে। এরপর ২০২৩ সালের ২০ জুন, আদালত আংশিকভাবে মহিলার আবেদন মঞ্জুর করে। যতদিন না পর্যন্ত মূল মামলার নিষ্পত্তি হয় ততদিন স্ত্রীকে ৫০০০০ টাকা করে দিতে হবে বলেই স্বামীকে নির্দেশ দেওয়া হয়।