ভারতের ধনীতম শহরের তকমা পেল মুম্বাই! কলকাতা আছে কত নম্বরে? জানলে অবাক হবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক (New York) শহরের মুকুটে নতুন পালক জুড়েছে। কারণ, ওই শহর বিশ্বের সবচেয়ে ধনী শহরের (World’s Richest City) তকমা পেয়েছে। এমতাবস্থায়, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে ভারতের সবথেকে ধনীতম শহর কোনটি? এবার সেই প্রশ্নের উত্তরও সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, মুম্বাই (Mumbai) ভারতের সবথেকে ধনীতম শহর হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সেখানে ৫৯ হাজার মিলিয়নেয়ার বসবাস করেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, আর মাত্র এক দশকের মধ্যেই মুম্বাইয়ে এই সংখ্যাটা প্রায় দ্বিগুণ হতে চলেছে।

উল্লেখ্য যে, গ্লোবাল ওয়েল্থ ট্র্যাকার হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স-এর সাম্প্রতিক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের সবথেকে ধনীতম শহরের তালিকায় ২১ নম্বর স্থানে রয়েছে মুম্বাই। অর্থাৎ, ভারতের আর কোনো শহর এই তালিকার প্রথম ২০-র মধ্যে স্থান পায়নি। পাশাপাশি, দিল্লি ও বেঙ্গালুরুও এই তালিকায় স্থান পেলেও সেই শহরগুলি তালিকার অনেকটাই নিচে রয়েছে। এদিকে, কলকাতা শহরের কোনো উল্লেখই নেই এই তালিকায়।

মূলত, ৩ লক্ষ ৪০ হাজার মিলিয়নেয়ারের উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করে ফেলেছে নিউ ইয়র্ক শহর। পাশাপাশি তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে জাপানের রাজধানী টোকিও এবং সানফ্রান্সিসকো। জাপানে মিলিয়নেয়ারের সংখ্যা হল ২ লক্ষ ৯০ হাজার ৩০০ জন এবং সানফ্রান্সিসকোতে এই সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ২ লক্ষ ৮৫ হাজারে।

আর কোন কোন শহর কোথায় রয়েছে: গ্লোবাল ওয়েল্থ ট্র্যাকার হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স-এর রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ধনীতম শহরের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে লন্ডন। তবে, ২০০০ সালে বিশ্বের ধনীতম তালিকার শীর্ষে লন্ডন থাকলেও আপাতত এই শহর রয়েছে চতুর্থ স্থানেই। বর্তমানে ওই শহরে মিলিয়নেয়ারের সংখ্যা হল ২ লক্ষ ৫৮ হাজার।

topic london gettyimages 760251843 feature

পাশাপাশি, লন্ডনের পরেই এই তালিকায় রয়েছে সিঙ্গাপুর। এই শহরে মিলিয়নেয়ারের সংখ্যা হল ২ লক্ষ ৪০ হাজার ১০০ জন। এছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের “দ্য বে এরিয়া”, “লস অ্যাঞ্জেলস” এবং “শিকাগো”-র মত শহরগুলিও এই তালিকায় স্থান পেয়েছে। পাশাপাশি, পিছিয়ে নেই চিনও। সেখানকার বেজিং ও সাংহাইয়ের উল্লেখ রয়েছে এই তালিকায়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর