বাংলা হান্ট ডেস্ক : ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার (Mumbai Terror Attack) পেছনে ছিলেন তিনিই। ২০০৬ সালে মুম্বাই ট্রেন হামলার পরিকল্পনাও তারই মস্তিষ্কপ্রসূত। বিগত বহুদিন ধরেই তার খোঁজ করে চলছিল ভারতীয় গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, এতদিন তিনি গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে লুকিয়ে ছিলেন সন্ত্রাসবাদীদের চারণভূমি পাকিস্তানে (Pakistan) । তবে এবার মিলল লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) কম্যান্ডার আজম চিমার (Ajam Cheema) খোঁজ।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য আজম চিমার নাকি মৃত্যু হয়েছে পাকিস্তানে। সূত্রের খবর, মোস্ট ওয়ান্টেড এই সন্ত্রাসী এতদিন ধরে পাকিস্তানের ফৈসলাবাদে লুকিয়ে ছিল। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৭০ বছর। ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্ট অনুযায়ী, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। গোপনে সারা হয়েছে তার শেষকৃত্যও।
ভারতে জঙ্গি হামলার ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, চিমার সাথে ভারতের সম্পর্ক অনেক পুরনো। ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিল এই আজম চিমা। তারও আগে ২০০৬ সালে মুম্বাইয়ের ট্রেন বিষ্ফোরণের ঘটনাও তারই মস্তিষ্কপ্রসূত। সেবার এই ঘটনায় কমপক্ষে ১৮৮ জন ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়। প্রায় ৮০০-রও বেশি মানুষ আহত হন সেবার।
অল্প সময়ের মধ্যে পদোন্নতি ঘটে আজমের। ধীরে ধীরে তার নাম জুড়তে থাকে অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের সাথেও। বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের আস্তানায় গিয়ে সেখানে প্রশিক্ষণও দিতে দেখা যেত তাকে। বিভিন্ন জায়গায় আজমের নাম জুড়তেই তার খোঁজখবর শুরু করে আমেরিকা। এরপর অল্প দিনের মধ্যেই তাকে মোস্ট ওয়ান্টেড বলে ঘোষণাও করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওসামা-বিন-লাদেনের আল-কায়েদা গোষ্ঠীর সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন আজম। ভারত সহ দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্র আঁকা ছিল আজমের মস্তিষ্কে। যে কারণেই যে কোনও হামলার ছক কষার মত গুরুদায়িত্ব তাকেই দেওয়া হত। আর এবার সেই চিমারই মৃত্যু হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনও ঘোষণা বা বিবৃতি আসেনি।