বাংলাহান্ট ডেস্ক : পুরসভা দখলের যুদ্ধে সকাল থেকেই ধুন্ধুমার রাজ্য। একের পর এক অভিযোগ উঠে আসছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। এবার বনগাঁয় কেঁদে ভাসালেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁর অভিযোগ ভোট লুঠ করছে তৃণমূল।
এদিন রীতিমতো হাউহাউ করে কাঁদতে দেখা যায় বনগাঁ পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সীমা বিশ্বাসকে। জানা যাচ্ছে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বনবিহারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বুথে রীতিমতো হুলুস্থুল সকাল থেকেই। ভোট শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অশান্তি ছড়ায় এলাকায়। ভোট লুঠ করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে মারধর করা হয় নির্দল প্রার্থী এবং তাঁর নির্বাচনী এজেন্টকে। ওই প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট তাঁর মেয়ে ছিলেন। অভিযোগের তীর ওঠে তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীর বিরুদ্ধে। আরও একাধিক অভিযোগ সহ পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই প্রার্থী।
একই সঙ্গে ওই বুথেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট লুঠের অভিযোগ এনে কেঁদে ভাসালেন বিজেপি প্রার্থী সীমা বিশ্বাস। রীতিমতো চোখের জলে ভাসতে ভাসতে তিনি বলেন, ‘মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। কাউকে ভোট দিতে দিচ্ছে না। ওরা সবাই ২-৩ বার করে ভোট দিয়ে যাচ্ছে।’
পুরো অভিযোগই অস্বীকার করেছে তৃণমূল তাদের অভিযোগ উলটে বিজেপিই হামলা চালিয়েছে এলাকায়। এখন সহানুভূতি চেয়ে নাটক করছেন প্রার্থী। প্রসঙ্গত, এদিন সকালেই ইভিএম আছড়ে ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বারাসাত ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শ্যামলী দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে। এলাকায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। রীতিমতো বুথের মধ্যে ঢুকে ইভিএম ভেঙে ফেলেন ওই বিজেপি প্রার্থী। ঘটনার জেরে শ্যামলী দাশগুপ্ত সহ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই ওয়ার্ডের বন্ধ ভোটগ্রহণ।