বাংলা হান্ট ডেস্ক : চীন থেকে আসা করোনাভাইরাস এখন সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে প্রধান মাথাব্যথার বিষয়। এই ভাইরাসের শিকার হয়ে এখনো পর্যন্ত মারা গিয়েছেন বহু মানুষ। করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক আরও বেড়ে গিয়েছে মানুষের তৈরি করা কিছু গুজবের জন্য।
যেমন মুরগির মাংসের ক্ষেত্রে গুজব রটানো হয়েছে যে, মুরগি খেলে নাকি করোনাভাইরাসের আক্রমণ হতে পারে সে কারণে এখন অনেকেই মুরগির মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। অজ্ঞতা খাসিই ভরসা। কিন্তু মানুষের মনে করোনা ভাইরাসের ভয় কে কাজে লাগিয়ে খাসির মাংস বিক্রেতারা কাস্টমারের ওপর নিজেদের ইচ্ছে মতো কোপ মারছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
বীরভূমের সিউড়ি পৌরসভা এলাকায় বেণীমাধব স্কুলের কাছে ব্যবসা করা খাসির মাংস বিক্রেতারা রাতারাতি খাসির মাংসের দাম ৫৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা কেজি করে দিয়েছেন।তারপরেই নড়েচড়ে বসেছেন সিউড়ি প্রশাসন। অভিযোগ শুনে সিউড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান উজ্জল মুখোপাধ্যায় পুলিশ নিয়ে হানা দেন মাংসের দোকানে সেখানে গিয়েই ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে তার সিদ্ধান্ত জানান তিনি।
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় বলেন, ” ইচ্ছে মত যখন খুশি দাম বাড়িয়ে দেবো সেটা করতে পারেনা। পুরসভার একটা আইন রয়েছে। যে আইনের বাইরে গেলে এই খাসির মাংস বিক্রেতাদের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করে দেওয়া হবে। ৬০০ টাকার বেশি কোনও ভাবেই খাসির মাংসের কেজি নেওয়া যাবে না। আমার কাছে অভিযোগ পেলেই আমি দোকান উঠিয়ে দেব।”
অন্যদিকে খাসির মাংস বিক্রেতারা বলছেন, “আমরা নিজেরাই এত অল্প দামে কিনতে পারি না তাই ৬০০ টাকা কিলো দরে বিক্রি করা সম্ভব না। পুরসভা আমাদের খাসি কিনে দিলে আমরা পুরসভার নির্ধারিত দামেই বিক্রি করব। পুরসভা, ক্রেতা, বিক্রেতাদের এই দ্বন্দ্বে কে জয়লাভ করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।