Bangla Hunt Desk: রায়গঞ্জের (Raiganj) কিশোরীর গণ ধর্ষণ এবং হত্যার বিষয়ে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সে বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত কিশোরীর পরিবার। যদিও তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও অবধি কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
পরিবারের অভিযোগ
ওই কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, এই নৃশংস্য হত্যাকাণ্ডের সাথে তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) পঞ্চায়ের সদস্য ছলিমুদ্দিন মহম্মদ জড়িত রয়েছেন। কিশোরীকে তুলে নিয়ে তাঁর বাড়িতেই লুকিয়ে রেখে, সেখানেই আশ্রয় নিয়েছিল ওই হত্যাকারীরা। সেইসঙ্গে কিশোরীর বাবা বাবা রফিকুল ইসলাম আরও দাবী করেছে, অপরাধীরা যেহেতু শাসকদলের আশ্রিত, সেই কারণেই তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না।
তৃণমূল মুখপাত্রের মন্তব্য
এই অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূলের মুখপাত্র তথা জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি দুলাল দেবনাথ জানিয়েছেন, ‘বিধায়ক খগেশ্বর রায় ইতিমধ্যেই পুলিশের গাফিলতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। ঘটনাটি সর্বোচ্চ জায়গায় জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ আবারও তদন্তে নেমেছে। তবে আমরা বিশ্বাস করি এর সঠিক বিচার হবে। তবে এই নৃশংস্য অপরাধের সাথে তৃণমূলের কোন নেতা জড়িত থাকলে, কেউই রেহাই পাবে না’।
অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবী বিজেপির
বিজেপি রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপেন প্রামাণিক জলপাইগুড়ি বিজেপির জেলা নেতৃত্ব এবং যুব ও মহিলা মোর্চার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ওই মৃত কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে জানিয়েছেন, ‘তৃণমূলের পঞ্চায়ের সদস্য ছলিমুদ্দিন মহম্মদ এবং এই ঘটনার বাকী অভিযুক্তরা মদ, গাঁজা-সহ বিভিন্ন নেশার সামগ্রীর অবৈধ কারবার করে। এই নক্কার জনক ঘটনার প্রতিবাদে অভিযুক্ত সকলকে অবিলম্বেই গ্রেপ্তার করতে হবে’।
প্রসঙ্গত, গত ১০ ই আগস্ট সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় এক কিশোরী। একটা গোটা রাত মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় পরদিন সকালে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীর পরিবার। শুরু হয় তদন্ত। গোটা এলাকা তোলপাড় করে খোঁজ চলতে থাকে ওই নিখোঁজ হওয়ায় কিশোরীর।
পুলিশি তল্লাশিতে ধরা পড়ে জেরার মুখে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে না পেরে অভিযুক্তরা জানিয়েছিল, একদিন নয়, লাগাতার পাঁচ দিন ধরে ওই কিশোরীকে একাধিকবার গণধর্ষণ করে তারা। শুধু তাই নয়, তারা আরও জানিয়েছিল, পাঁচ দিন ধরে একাধিকবার গণধর্ষণের পর গত ১৫ ই আগস্ট ওই কিশোরীকে খুন করে স্থানীয় প্রধানপাড়ার এক ব্যক্তির বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয় তারা। অভিযুক্তরা বর্তমানে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।