দেশজুড়ে কট্টরপন্থীদের উৎপাত চরমে পৌঁছে গেছে। বেছে বেছে হিন্দুবাদীদের টার্গেট করে খুনের প্রক্রিয়া চলছে। অন্যদিকে বুদ্ধিজীবীরা মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। তাবরেজ নামের কোনো চোর মারা গেলে বামপন্থী বুদ্ধিজীবীরা সক্রিয় হয়ে প্রতিবাদ করতে নেমে পড়ে। কিন্তু কোনো হিন্দু খুন হলে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলে। কয়েকদিন আগেই মুর্শিদাবাদে RSS স্বয়ংসেবক হত্যার ঘটনা সামনে এসেছিল। যেখানে বন্ধুপ্রকাশ পাল তার গর্ভবতী স্ত্রী ও ৮ বছরের বাচ্চাকে হত্যার খবর এসেছিল। আর এখন আবার এক ঘটনা সামনে আসছে যেটাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়ে গেছে।
খবর উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ থেকে সামনে এসেছে। যেখানে হিন্দু সমাজ পার্টির নেতা কমলেশ তিওয়ারিকে কট্টরপন্থীরা হত্যা করেছে। আতঙ্কবাদীদের কায়দায় গলা কেটে এই হত্যা করেছে কট্টরপন্থীরা। লক্ষণীয় বিষয় এই যে, কমলেশ তিওয়ারিকে ফাঁসি দেওয়ানোর জন্য উত্তরপ্রদেশের মুসলিম সংগঠনগুলি উঠে পড়ে লেগেছিল। অভিযোগ ছিল যে, উনি ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হজরত মহম্মদকে নিয়ে আপত্তিজনক কথা বলছিলেন। যদিও আদালতে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হন এবং উনি ছাড়া পান।
Remember Bijnor's Imam Had Announced 51 Lakh Reward To Behead #KamleshTiwari ?
UP Police Must Arrest Imam & Investigate pic.twitter.com/baIFgChaDZ
— Narendra Sharma (@narendrasharrma) October 18, 2019
আর এখন অজ্ঞাত পরিচয়ের লোকজন উনার হত্যা করে দিয়েছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, গেরুয়া পোশাক পরিধান করে হিন্দু সেজে মিষ্টির বাক্স নিয়ে তিওয়ারির বাড়িতে আসে কট্টরপন্থীরা। হিন্দু সমাজ পার্টির অফিসে ঢুকলে তাদের চাও খেতে দেওয়া হয়। মিষ্টির বাক্স এ ছিল বন্ধুক। কমলেশ তিওয়ারিকে সামনে পেয়ে মিষ্টির বাক্স থেকে বন্দুক বের করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তবে গুলি চালানোর পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে দেওয়া হয় এবং দেহের নানা অংশে কোপ মারা হয়। এরপর কিং জর্জ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
কমলেশ তেওয়ারী হিন্দু সমাজ পার্টি প্রতিষ্ঠার আগে ২০১৭ সালে হিন্দু মহাসভার সভাপতি ছিলেন। জানিয়ে দি, কিছু ইসলামিক কট্টরপন্থী কমলেশ তেওয়ারীকে হত্যা করার হুমকি খোলাখুলিভাবেই দিয়েছিলেন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় মজুত রয়েছে। এখন সরকার চাইলে সেই ভিডিওর ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করতে পারে এবং অপরাধীদের ধরতে পারে।