দেগঙ্গায় TMC কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন দুষ্কৃতীদের! পরপর ছুরির কোপে হত্যা, গ্রেফতার শূন্য

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই এগিয়ে আসছে, ততই যেন বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে হিংসা এবং সন্ত্রাসের ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। বাংলার কোন না কোন জেলায় প্রতিদিনই দলীয় নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষদের খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসে চলেছে আর সেই ধারা বজায় রেখে এবার দেগঙ্গায় (Deganga) পঞ্চায়েত প্রধানের ভাই তথা তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন করল দুষ্কৃতীদের দল। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।

সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে সন্ত্রাসের ঘটনা মারাত্মক রূপ নিয়ে চলেছে, তাতে প্রশাসনের গাফিলতির বিরোধিতায় ইতিমধ্যে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। বর্তমানে দেগঙ্গায় চাঁপাতলা অন্তর্গত গোসাইপুর বাজার এলাকায় এক তৃণমূল কর্মীকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় সেই বিতর্ক আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইকে হত্যার মামলায় ভীত সন্ত্রস্ত স্থানীয়রা। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী। তাঁর ভাই মিজান রেজা চৌধুরী এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। এক্ষেত্রে তাঁকে খুনের ঘটনায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, খুনের দিন রাতের দিকে বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরছিলেন মিজান রেজা চৌধুরী। তবে পাড়ার মাঝে আচমকাই তাঁকে ঘিরে ধরে কয়েকজন যুবক। পরবর্তীতে কথা কাটাকাটি থেকে বচসা এবং এরপর হাতাহাতি মাঝে মিজানকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করতে থাকে অভিযুক্ত যুবকেরা। বারংবার ছুরির আঘাতে লুটিয়ে পড়েন মিজান এবং এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।

suicide 1

এক্ষেত্রে প্রথমে স্থানীয় একটি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরবর্তীতে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। গভীর ক্ষত থাকার কারণে প্রাণ হারান তৃণমূল কর্মী। স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনায় আমজাদ আলি নামে এক এলাকাবাসীর যোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে বহুদিন ধরেই আমজাদের সঙ্গে বিবাদ লেগেছিল মিজানের আর সেই কারণেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে তদন্ত শুরু করলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর