জিয়াগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, চার বছরের সন্তান সহ শিক্ষককে কুপিয়ে খুন! অবশেষে খুনিকে মৃত্যুদণ্ড আদালতে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বছর চারেক আগের দুর্গাপুজোর দশমী। সেদিন সপরিবারে খুন (Murder) হন মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) প্রাথমিক শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর স্ত্রী ও সন্তান। সেই খুনের ঘটনায় বহরমপুর আদালত অভিযুক্ত উৎপল বেহেরাকে দোষী সাব্যস্ত করে বুধবার। আজ আদালত উৎপলকে ফাঁসির সাজা শোনাল।

উৎপল আদালতে স্বীকার করেছেন যে বিমার টাকা না দেওয়ায় তিনি খুন করেছেন ওই প্রাথমিক শিক্ষক ও তার পরিবারকে। জিয়াগঞ্জের লেবুবাগানে প্রাথমিক শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল, স্ত্রী বিউটি পাল ও চার বছরের পুত্রসন্তান অঙ্গনের মৃতদেহ উদ্ধার হয় ২০১৯ সালের ৮ই অক্টোবর। সেদিন ছিল দশমী।

জানা যায় খুনের সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বিউটি পাল। মর্মান্তিক এই খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্ত নেমে পুলিশ গ্রেফতার করে সাগরদিঘির বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর উৎপল বেহেরাকে। তদন্তে জানা যায় বিমার ২৮ হাজার টাকা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করায় উৎপল খুন করেছে বন্ধুপ্রকাশকে।

আরোও পড়ুন : সামান্য যোগ্যতাতেই এবার পাবেন ২২ হাজার টাকার চাকরি! বিপুল নিয়োগ করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার

প্রমাণ লোপাটের জন্য উৎপল খুন করে তার স্ত্রী ও পুত্রকে। আদালত এই মামলায় ৪২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। এই মামলায় সাক্ষ্য দিতে আসেন এমন দুজন যারা ওই দিন উৎপলকে বন্ধুপ্রকাশের বাড়ি থেকে বেরোতে দেখেছিলেন। ফরেনসিক পরীক্ষায় দেখা যায় যে হাসুয়া দিয়ে বন্ধুপ্রকাশকে খুন করা হয়েছিল তাতে হাতের ছাপ রয়েছে উৎপলের।

এছাড়া পুলিশ বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশে প্রথম ইলেকট্রনিক প্রমান পেশের ক্ষেত্রে। জেলা জজ আদালতের বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠক এর ভিত্তিতে উৎপলকে বুধবার দোষী সাব্যস্ত করেন। এই ঘটনার চার বছর পর আদালত রায় জানাল। ফাঁসির সাজা হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বন্ধুপ্রকাশের মা।

আরোও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য দুর্দান্ত খবর! বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বড়সড় আপডেট মুখ্যমন্ত্রীর

মৃত শিক্ষকের মায়ের বক্তব্য, অনেক কষ্টে মানুষ করেছিলাম ছেলেকে। উৎপল সব শেষ করে দিল। বাচ্চাটাকে অন্তত ছেড়ে দিতে পারতো। উৎপল পুলিশি জেরায় জানিয়েছিল, সে বিমার ২৮ হাজার টাকা জমা দিতে দিয়েছিল বন্ধু প্রকাশকে। কিন্তু বন্ধু প্রকাশ সেই টাকা জমা দেননি। তিনি ২৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

qt rss 1692880674379 1692880682579

উৎপলের অভিযোগ এরপর টাকা চেয়ে বারবার ফোন করলেও সদুত্তর মেলেনি। এমনকি উৎপল অভিযোগ করেন বন্ধু প্রকাশ তার সাথে দুর্ব্যবহার করতেন। এর ফলে উৎপলের মনে তৈরি হয় আক্রোশ। সেই থেকে খুনের উদ্দেশ্যে উৎপল হাসুয়া কেনেন ৫ই অক্টোবর ২০১৯ সালে। এরপর সে বন্ধু প্রকাশের বাড়িতে গিয়ে তাকে খুন করেন ওই বছর দশমীর দিন।

 

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর