বিড়ির ব্যবসায়ী থেকে কংগ্রেস বিধায়ক, তিন মাসেই দল বদলে তৃণমূলে! জানুন কে এই বাইরন বিশ্বাস

বাংলাহান্ট ডেস্ক: চর্চায় এখন তৃণমূলের বাইরন! প্রথমবারের জন্য ভোটের ময়দানে নেমেই সকলকে চমকে দিয়েছিলেন সাগরদিঘির বায়রন বিশ্বাস (Bayron Biswas)। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সাগরদিঘি (Sagardighi) কেন্দ্রে উপ-নির্বাচনে (Bi election) বাম সমর্থিত কংগ্রেস (Congress) প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসের জয় অক্সিজেন জুগিয়েছিল বাম কং জোট শিবিরকে। তবে তিন মাসেই স্বপ্ন ভঙ্গ!

সোমবারই ঘাটালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলের (Trinamool Congress) পতাকা তুলে নিয়েছেন কংগ্রেসের বাইরন। ফলে পুনরায় বিধানসভায় বাম-কং গিয়ে ঠেকলো শুন্যে। যাকে নিয়ে এত চৰ্চা জানেন কে এই বাইরন? ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান বায়রনের জীবনী চমকে দেওয়ার মতো।

বায়রন বিশ্বাসের বাবা বাবর আলি মুর্শিদাবাদের বিখ্যাত বিড়ি শিল্পপতি। এক সময় সিপিআইএম (CPI(M)) করতেন বাবর আলি। পরে দূরত্ব বাড়ান রাজনীতির ময়দানের সঙ্গে। মন দেন ব্যবসায়। বড় শিল্পপতি হয়ে ওঠেন মুর্শিদাবাদ এলাকার। এরপর তিনি ব্যবসা শুরু করেন চায়ের। খোলেন ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ও বেসরকারি হাসপাতাল। প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তার যোগাযোগ হয় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সাথে।

বায়রন কিংবা তাঁর দুই ভাইয়ের কোন যোগসূত্র ছিল না রাজনীতির সাথে। বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করতেন তিনি। খুলতে চেয়েছিলেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যবসাও। রাজনৈতিক মহলের মত ওই ব্যবসার ভরসাতে তিনি নির্বাচনের আগে কর্মসংস্থানের আশ্বাস দেন। এরফলে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় না হলেও কংগ্রেস সাগরদিঘি উপনির্বাচনের জন্য বেছে নেন বায়রনকে। তাকে সমর্থন জানায় বামেরাও।

আর প্রথম বার কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়েই বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন তিনি। আর এই বাইরনই গতকাল যোগ দিলেন তৃণমূলে। তিন মাস আগেই বিপুল ভোটে জিতে অধীর চৌধুরীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে বাইরন বলেছিলেন, ‘দাদা যা করেছেন, তা অতুলনীয়।’ আর গতকাল অভিষেকের পাশে বসে একেবারে ৯০ ডিগ্রি কোণে ঘুরে গিয়ে নেতার দাবি, তার জয়ে কংগ্রেসের কোনও অবদান ছিল না।

bairon adhir

বায়রন তো কংগ্রেস যোগ দিলেন জোড়াফুলে। তবে সামনে তুলে আনলেন অনেক অনেক প্রশ্ন। কি এমন হল এই তিন মাসে যে, তৃণমূলকে কিনে নিতে চাওয়া বায়রনের মধ্যে এরম আমূল পরিবর্তন! এই তো কিছুদিন আগেই উপনির্বাচনে জিতে বায়রন বুক ফুলিয়ে বায়রন বলেছিলেন, ‘লিখে রেখে দিন, তৃণমূল আমায় কিনতে পারবে না। দরকারে আমি তৃণমূলকে কিনে নেব।’

আর আর সেই বায়রনই আজ সব পূর্বের সব কথা পাল্টে যোগ দিলেন তৃণমূলে। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করে আজ অধীর চৌধুরী অবশ্য বলেন, তাকে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে নেওয়া হয়েছে। যদিও অধীরের দাবি নস্যাত করে বায়রন বলেন তিনি হামেশা তৃণমূলেই ছিলেন।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর