মার্তৃগর্ভেই হারিয়েছেন বাবাকে, বিড়ি বেঁধে চলত সংসার! সেই ছেলেরই চোখ ধাঁধানো ফল WBCS-এ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছোটবেলা কেটেছে দারিদ্র ও অভাবকে সঙ্গী করে। মাতৃগর্ভে থাকাকালীন সময়ে মারা যান বাবাও। কিন্তু যবে থেকে জ্ঞান হয়েছে তবে থেকেই আপন করে নিয়েছেন পড়াশোনা ও অধ্যবসাকে। জীবনের হাজারো সমস্যাকে এক লহমায় উড়িয়ে দিয়ে আজ সফলতার অন্য এক মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন ইউসুফ হোসেন।

কোচিং সেন্টারের সাহায্য ছাড়াই অবাক করে দেওয়া ফল করেছেন ডব্লিউবিসিএস গ্রুপ সি’তে। WBCS (West Bengal Civil Service) গ্রুপ সি-তে ইউসুফের র‌্যাঙ্ক ১৪৮। ইউসুফ শীঘ্রই যোগদান করবেন LRO অর্থাৎ Land Revenue Officer, ভূমি রাজস্ব আধিকারিক হিসেবে। ইউসুফের বাড়ি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের এলিজাবাদ দক্ষিণপাড়া গ্রামে।

তার জীবন সংগ্রাম কাহিনী কোনও চিত্রনাট্যের থেকে কম নয়। জন্মের আগেই মারা যান বাবা। তিন দাদা ও চার বোনের মধ্যে ইউসুফ সবার ছোট। বাবার মৃত্যু হলে মা বিড়ি বাঁধার কাজ করতেন। সংসারে ছিল চরম দারিদ্রতা ও অভাব। কিন্তু চিরটাকাল তিনি লড়াই করে গেছেন আর আপন করে নিয়েছেন পড়াশোনাকে। মা’ও মারা যান স্নাতক হওয়ার আগেই।

এরপর এক দাদার কাছেই থাকতেন তিনি। স্নাতক হওয়ার পর ইউসুফ টিউশনি করে নিজের পড়াশোনা চালাত। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় এর ইংরেজির স্নাতক ইউসুফ ডাব্লিউবিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেন ২০১৭ সাল থেকে। অভাবের সংসারে ছিল না কোচিং এ ভর্তি হওয়ার সামর্থ্য। তাই ঘরেই চলত পড়াশোনা। ২০১৭ সাল থেকে ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইউসুফ।

1200 675 19109364 thumbnail 16x9 msd

ইউসুফের কথায়, “হার মানলে চলবে না। প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করে যেতে হবে। পড়াশোনা ও প্র্যাকটিস চালিয়ে যেতে হবে প্রতিদিন।” এবার তিনবারের বার তিনি সফল হলেন সেই পরীক্ষায়। গত ২০ জুলাই প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের ডাব্লিউবিসিএস পরীক্ষার ফল। তাতে দেখা যায় জেনারেল ক্যাটেগরিতে ১৪৮ ও ডিপার্টমেন্টালে ২৯ তম জায়গা দখল করেছেন ইউসুফ।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর