ভারতে মুসলিমদের মধ্যে কমছে সন্তান নেওয়ার প্রবণতা! বড়সড় তথ্য উঠে এল কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জাতীয় পরিবার এবং স্বাস্থ্য সমীক্ষায় উঠে এলো চমকপ্রদ তথ্য। বিগত দুই দশকে ধর্মের নিরিখে ভারতে সবচেয়ে বেশি কমেছে মুসলিম জন্মহার।

একজন মহিলা নিজের জীবনে মোট যতগুলি সন্তানের জন্ম দেন সেটিকেই গড় করে নির্ণয় করা হয় জন্ম হার। কেন্দ্রের পঞ্চম পরিবার ও স্বাস্থ্য সমীক্ষায় উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী স্বভাবতই দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন মুসলিম জন্মহার। ১৯৯২-৯৩ সালে সার্বিকভাবে জন্মহার ছিল ৩.৪। ২০১৫-১৬ তে তা খানিক কমে হয় ২.২। এবার এই হারই কমে দাঁড়ালো ২% তে।

বিগত দুই দশকের মধ্যে মুসলিমদের জন্মহার সবচেয়ে কম হলেও অন্যান্য ধর্মের থেকে অবশ্য এখনও তা বেশিই। ১৯৯২-৯৩ সালে মুসলিমদের জন্মের হার ছিল ৪.৪%। ২০১৫-২০১৬ সালে এই জন্মহার ছিল ২.৬২%। সেই হারই ২০১৯-২১ সালে হয়ে দাঁড়িয়েছে ২.৩৬%। পাশাপাশি জন্মহার কমেছে হিন্দুদেরও। ২০১৫-১৬ সালে যেখানে শিশু জন্মের হার ছিল ২.১ শতাংশ, সেখানে এখন মহিলা পিছু শিশু জন্ম দেওয়ার হার কমে দাঁড়িয়েছে ১.৯৪% তে। ১৯৯২- ১৯৯৩ সালে এই জন্মহারই ছিল ৩.৩ শতাংশ। অর্থাৎ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিগত দুই দশকে হিন্দু এবং মুসলিমদের জন্মহার কমেছে যথাক্রমে ৪১.২% এবং ৪৬.৫%।

জন্মহারের উপর বড়সড় প্রভাব থাকে মায়ের শিক্ষার। সমীক্ষা অনুযায়ী সন্তান জন্ম দিতে বিরূপ উচ্চ শিক্ষিত মহিলারা। জন্ম দিলেও সাকুল্যে একটি। অন্যদিকে শিক্ষার হার যত কম ততই বেশি জন্মহার। কেন্দ্রের সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশে ১৫ বছর থেকে ৪৯ বছর অবধি বয়সী মুসলিম মহিলাদের মাত্র ৪৪ শতাংশ স্কুলের গণ্ডি টপকেছেন। হিন্দুদের ক্ষেত্রে এই হার ৫৩ শতাংশ। হিন্দুদের মধ্যে জন্মহার নিয়ন্ত্রনের কারণ হিসেবে তাই এটিকেও একটি বড় কারণ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর