আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির (AMU) প্রাক্তন ছাত্র সভাপতি ফৈজুল হাসান (Faizul Hasan) ছাত্রদের ধর্নায় ভাষণ দেওয়ার সময় বলেন, ‘মুসলিমরা (Muslim) এমনই এক সম্প্রদায় যারা কোন দেশকে বরবাদ করতে চাইলে, করেই ছাড়বে।” এরপর হাসান বলেন, যদি ধৈর্যের সীমা দেখতে চাও, তাহলে ভারতের যেকোন মুসলিমকে দেখা নাও। ১৯৪৭ থেকে ২০২০ পর্যন্ত মুসলিমরা ধৈর্য ধরে বসে আছে, তাঁরা কখনো চেষ্টা করেনি যে ভারত ভেঙে যাক, চেষ্টা করলে কেউ আটকাতে পারত না।
এই বয়ানের সাফাই হিসেবে সংবাদসংস্থা এএনআই এর সাথে কথা বলার সময় হাসান বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের রাজনীতি থেকে দূর থাকার কথা বলেছি। উনি আরও বলেন, আমি বিজেপি নেতাদের ২২ কোটি মুসলিমদের সাথে নিয়ে চলার কথা বলেছি, এরফলে দেশ মজবুত হবে।
উনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহয়ের উপর আক্রমণ করেন। হাসান এনআরসি আর সিএএ নিয়ে অমিত শাহকে তর্কে আসার চ্যালেঞ্জ জানান। উনি বলেন, ‘অমিত শাহ আসুক আর আমাদের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রদের সাথে সিএএ নিয়ে তর্ক করুক। আমি আশা করছি, উনি জিততে পারবেন না।” হাসান বলেন, অমিত শাহ যদি এই ব্যাপারে পাঁচটি পয়েন্ট বোঝাতে সক্ষম হন, তাহলে আমি ওনার পাশে দাঁড়িয়ে সিএএ এর সমর্থন করব।
এএনআই এর সাথে কথা বলার সময় হাসান পরমবীর চক্র বিজেতা আবদুল হামিদের বীরত্বের চর্চা করেন। উনি বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমর্থনে দেশ মজবুত হবে। উনি বলেন, বীর আবদুল হামিদ পাকিস্তানের ২২ টি ট্যাংক ধ্বংস করেছিলেন। যদি অমিত শাহ আর যোগী দেশের ২২ কোটি মুসলিমদের সাথে ভালোবাসা সম্পর্ক গড়েন, তাহলে কেউই আমাদের দেশের দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারবে না।
আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সংসদ এটাও পরিস্কার করে দেন যে, উনি কোন সরকারকে ঘৃণা করেন না। কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের রাজনীতি উনি বরদাস্ত করবেন না।