সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন! কালী মায়ের রং বৃষ্টিতে যাচ্ছিল, নামাজের ঘরে হল ঠাঁই

বাংলা হান্ট ডেস্ক : কালীপুজোর আগে যেভাবে টানা তিন দিন গোটা রাজ্য জুড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে তার জেরে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে পুজো উদ্যোক্তারা এবং সর্বপরি প্রতিমা প্রস্তুতকারকরা৷ শেষ সময়ের শেষ ফিনিশিং দিতেই পারেননি অনেকেই৷ রং তুলির শেষ টান দিতে না দিতেই বর্ষা নেমে আসায় সব ভেস্তে গিয়েছে৷ এই সমস্যায় পড়েছেন রাজ্যের অনেক শিল্পীরাই৷ প্রতিমা গড়ার কাজ শেষ করে দিতে হয়েছে কিন্তু এই সমস্যা থেকে এক হিন্দু প্রতিমা শিল্পীকে বাঁচালেন মুসলিম ভাই৷C8oCtxqXYAAkvi6

বর্ধমানের মৃত্শিল্পী অসীম পাল, এ বছর আটটি কালী প্রতিমা তৈরির বরাত পেয়েছিলেন৷ নিজের এক চিলতে খেতাবের বাড়িতে প্রতিমার কাজ চললেও শেষ বেলায় প্রবল বর্ষণের জেরেই প্রতিমাকে বাঁচাতে সমস্যার মুখে পড়তে হয় অসীমবাবুকে৷ ত্রিপল খাটিয়ে কালী মায়ের মূর্তি রং করার কাজ করলেও বৃষ্টি ত্রিপল ভেদ করে রং ধুইয়ে মুছে দিচ্ছিলেন৷ কী করবেন? ভেবে কার্যত মাথায় হাত পড়েছিল অসীমবাবুর৷ তাঁর সমস্যা দেখে পাশে দাঁড়ান পড়শি আফরোজা বিবি৷ তিনি অসীমবাবুর সমস্যা গিয়ে জানান তাঁর স্বামীকে৷ তার পর ওই দম্পতি অসীমবাবুকে তাঁদের নমাজের ঘরটি ছেড়ে দেন৷

ব্যাস বড় ঘরে নিশ্চিন্তে ছায়ায় বসে প্রতিমা তৈরির শেষ কাজ শেষ করে ফেলেন অসীমবাবু৷ এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আফরোজা বিবির স্বামী ফরজ সাহেব জানিয়েছেন, বিপদে পড়লে জাতি বর্ণ বিচার করলে চলে না, আমার প্রতিবেশী প্রতিমা তৈরি করে সংসার চালান তাই বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়েছিলেন আমি ঘর ছেড়ে দিয়েছি বলেন তিনি৷ সরোজবাবুর এই উপকারে যথেষ্টই আপ্লুত অসীমবাবু৷ তিনি জানিয়েছেন তাঁর এক চিলতে বাড়িতে বৃষ্টির জলে ধুয়ে যাচ্ছিল সবটাই, কিন্তু ফরজ সাহেব তাঁকে সেই সমস্যা থেকে বাঁচিয়েছেন৷

সম্পর্কিত খবর