বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী (Lal Krishna Advani) ভারতরত্ন (Bharat Ratna) পুরস্কার পাচ্ছেন। আর এই খবর দিয়েছেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কেন্দ্র সরকারের এই ঘোষণায় খুশি বিজেপি সমর্থকরা। কিন্তু একইসাথে ক্ষুব্ধ হয়েছে জামায়াতে ইসলামী হিন্দের নেতারা। বিষয়টি সম্পর্কে জামাতের সহ-সভাপতি মালিক মোহতাসিম খান বলেন যে, বর্তমান সরকারের কাছ থেকে এইরকমই কিছু প্রত্যাশা ছিল যে তারা বাবরি মসজিদ ধ্বংসকারীদের পুরষ্কার দেবে।
উল্লেখ্য গত 1992 সালের 6 ডিসেম্বর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দল এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কর্মীরা করসেবার জন্য জড়ো হন। এবং সেখানে শত শত লোকের দ্বারা অযোধ্যার বিতর্কিত বাবরি মসজিদের কাঠামো ভেঙে ফেলা হয়। এরপর থেকেই সেই নিয়ে মামলা চলতে থেকে। সম্প্রতি সেই বিবাদের নিষ্পত্তি করে সেখানে মন্দির স্থাপনের অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
তবে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলায় অভিযুক্ত হন বিজেপি নেতা এল কে আডবাণী, মুরলি মনোহর যোশী, উমা ভারতী, বিনয় কাটিয়ার সহ 49 জন। যদিও 2020 সালে রামমন্দির মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার সময় সবাই আদালত থেকে খালাস হয়ে যান। কোর্ট রায় দেয় যে, বাবরি ধ্বংস কোনো ষড়যন্ত্র নয় বরং এটি একটি আকস্মিক ঘটনা। এদিকে রাম মন্দির নির্মাণের আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী প্রধান নেতাদের একজন ছিলেন আডবাণী। তার ভারতরত্ন খেতাবে স্বাভাবিক ভাবেই মুসলিম পক্ষ বিশেষ করে জামাত খুবই ক্ষুব্ধ।
আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, গত 1990 সালের 25 সেপ্টেম্বর সোমনাথ থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত রাম রথযাত্রা বের করেন আডবাণী। সেই রথ আটকে যায় বিহারে। 90 সালের 23 অক্টোবর লালু যাদবের সরকার আডবাণীর রথ যাত্রা আটক করে সমস্তিপুরে, এবং সেখানেই তাকে গ্রেপ্তার করে। রামজন্মভূমি আন্দোলনে অবদানের জন্য এবং অক্লান্ত পরিশ্রম ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতরত্ন পাচ্ছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী।
আরও পড়ুন : লোকসভা নির্বাচনের আগেই পদত্যাগ দেবের, রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে
বিষয়টি নিয়ে জামায়াতে ইসলামী হিন্দ বেশ ক্ষুব্ধ। অবশ্য আজকাল তাদের ক্ষুব্ধ থাকার পিছনে এক নয়, বহু কারণ রয়েছে। উত্তর প্রদেশের বারাণসী জেলার জ্ঞ্যানবাপির বেসমেন্ট পূজার জন্য খোলার প্রতিবাদে প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং তাদের আওয়াজ তুলতে জামায়াত নেতারা নয়াদিল্লিতে একটি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন। সেখানেই আডবাণীকে নিয়েও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান যে, আদালতের ওপর থেকে নাকি আস্থা হারাচ্ছেন তারা।