বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুসলিম হয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার অপরাধে স্কুল থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হল আনোয়ার হোসেন নামের মুসলিম সমাজের এক সন্মানিয় প্রতিনিধিকে। আনোয়ার হোসেন রাজারহাটে একটি স্কুল পরিচালন কমিটির সদস্য। ওনার অপরাধ শুধু এটাই ছিল, তিনি মুসলিম হয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আর এই কারণেই ওনাকে এই অপমান সহ্য করতে হল।
আনোয়ার হোসেনকে স্কুল থেকে বের করে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ স্লোগান দিয়ে উল্লাসও করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
আনোয়ার হোসেনকে ৩০ জানুয়ারি স্কুল থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছিল। আনোয়ার হোসেন জানান, আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছি বলে চারিদিক থেকে চাপ আসছিল। আমাকে আন্নাকালী স্মৃতি গার্লস হাইস্কুলের পরিচালন সমিতি থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ারও চাপ দেওয়া হচ্ছিল। এরপর আমি ৩০ তারিখ স্কুলে পদত্যাগপত্র দিতে যাই।
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি পদত্যাগপত্র দেওয়ার সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী স্কুলে ঢুকে আমার সাথে অভব্যতা শুরু করে। আমাকে চেয়ার থেকে তুলে হেনস্থা করা হয়। দুষ্কৃতীরা আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে স্কুল থেকে বের করেও দেয়।” আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাকে স্কুলে পদত্যাগপত্রও জমা দিতে দেয়নি ওঁরা।
আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘স্কুলে যা হওয়ার হয়েছিল, কিন্তু আমাকে স্কুল থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে রাস্তায় আমার পিছু নেয় ওঁরা। তৃণমূলের নামে স্লোগান দিতে দিতে আমাকে তাড়া করে ওঁরা।” আনোয়ার হোসের সাথে ঘটে যাওয়া সেদিনের ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই চারিদিকে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
আনোয়ার হোসেন জানান, এই ঘটনার পর দোষীদের গ্রেফতার করার দাবিতে আমি রাজারহাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আনোয়ার হোসেনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কোমর বেঁধে নেমেছে বিজেপি। দলের তরফ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে যে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ দোষীদের গ্রেফতার না করলে আন্দোলনে নামা হবে। যদিও, এই ঘটনায় তৃণমূল জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজারহাটের তৃণমূল সভাপতি প্রবীর কর।