বাংলা হান্ট ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে যোগীরাজ্য! মুজফফরনগরের (Muzaffarnagar) একটি স্কুলে এক মুসলিম (Muslim) পড়ুয়াকে তার হিন্দু সহপাঠীকে চড় মারার নির্দেশ দিলেন এক স্কুল শিক্ষিকা। আর এই নিয়েই শুরু হল বিতর্ক। অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুজফফরনগরে গত মঙ্গলবার পঞ্চম শ্রেণির এক পড়ুয়া ওই শিক্ষিকার প্রশ্নের উত্তর ঠিকঠাক দিতে পারেনি। এরপরই তিনি রেগে গিয়ে হিন্দু ছাত্রকে চড় মারার নির্দেশ দেন। নির্দেশ দেওয়া হয় ওই ক্লাসেরই এক মুসলিম ছাত্রকে। ঘটনার পর থেকেই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে ওই নিগৃহীত পড়ুয়া। নিজেকে ঘর বন্দি করে রাখে সে। এরপর তার মা-বাবা জিজ্ঞাসা করলে বিষয়টি খুলে বলে ১১ বছরের ওই ছাত্র। বৃহস্পতিবার ছাত্রের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফেও তাঁকে সাসপেন্ড (Suspend) করা হয়েছে।
স্কুল মুক্ত চিন্তা করতে শেখায়। আর সেই স্কুলেই যখন ধর্মে-ধর্মে বিরোধের পাঠ দেওয়া হয় বা উস্কানি দেওয়া হয়, তখন তা নিন্দা জানানোর ভাষা রাখে না। এমনটাই ফের দেখা গেল উত্তরপ্রদেশে।
সম্প্রতি, মুজফফরনগরের একটি বেসরকারি স্কুলে গত মাসে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। নামতা না বলতে পারায় এক মুসলিম পড়ুয়াকে শাস্তি দিতে নজিরবিহীন নির্দেশ দিয়েছিলেন এক স্কুল শিক্ষিকা। ওই মুসলিম পড়ুয়াকে সহপাঠীরাই মারধর করবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়। যার ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়ে। অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হয়। আর তার রেশ কাটতে না কাটতেই একই ধরনের ঘটনা সামনে এল। স্বাভাবিকভাবেই স্কুলে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এহেন ঘটনায় সমাজের সব স্তরে নিন্দার ঝড়।