বাংলা হান্ট ডেস্ক : ছোট থেকেই তিনি হিন্দু ধর্মে (Sanatan Dharma) অনুরক্ত। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত (Followers of Shri Krishna)। কিন্তু বাড়িতে পুজো করলেই জুটত মারধর। কারণ তাঁর নাম যে শেহনাজ। মুসলিম তরুণী (Muslim Woman) তিনি। আর তাই, হিন্দুদের মতো পুজো করা তাঁর উচিত নয়। তবে পরিবারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই চলত কৃষ্ণের আরাধনা। ধরা পড়লেই অবশ্য সহ্য করতে হত পরিবারের শাসন।
এভাবেই কাটছিল দিন। তারপর এক সময় এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় শেহনাজের। শ্বশুর বাড়িতে গিয়েও পুজো-আচ্চা বন্ধ করতে রাজি হননি ওই তরুণী। সবার চোখের আড়ালে চলত কৃষ্ণ পুজো। তারপর একদিন তাঁর এই ঘটনা ধরা পড়ে যায় স্বামীর চোখে। এরপরই শুরু হয় শ্বশুর বাড়ির নির্যাতন। চলত মারধরও। একদিন তাঁর স্বামী তাঁকে তিন তালাকও দিয়ে দেন। শেহনাজকে বেড় করে দেওয়া হয় বাড়ি থেকে।
এরপর বেরেলিতে এসে শেহনাজ গ্রহণ করেন হিন্দু ধর্ম। তারপর হিন্দু যুবক পবনের সঙ্গে সেরে ফেলেন বিয়ে। শোহনাজ নিজেই জানান, ‘আমার পরিবারের লোক ভেবেছিল আমার বিয়ে করিয়ে দিলে সবকিছু আমি ভুলে যাব। কিন্তু তা হওয়ার নয়। শ্বশুর বাড়ির লোক আমাকে মারধর করেও পুজো করা ছাড়াতে পারেনি।’
জানা যাচ্ছে, শ্বশুর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর কিছুদিন তিনি তাঁর বাপের বাড়ি চলে আসেন। সেখানেই তাঁর ছোটবেলার বন্ধু পবনের সঙ্গে আবার যোগাযোগ হয়। ধীরে ধীরে তা প্রেমে পরিণত হয়। অবশেষে তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। অগস্ত্য মুনির আশ্রমে হিন্দু মতে দুজনে বিয়ে করেন।
ওই আশ্রমে প্রথমে শেহনাজের সুদ্ধিকরণ হয়। পণ্ডিত কেকে শঙ্খধর এই কাজ করেন। তিনি গঙ্গাজল ছিটিয়ে ওই তরুণীকে শুদ্ধ করেন। এরপর গায়ত্রী মন্ত্র পড়িয়ে তাঁকে হিন্দু ধর্মে নিয়ে আসা হয়।
হিন্দুত্ববাদী সংগঠন জানায় ওই তরুণী কৃষ্ণ পুজো করতেন তাই শ্বশুর বাড়িতে মারধর করা হত। আজ ওই তিনি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করলেন। শেহনাজ থেকে তিনি হয়ে উঠলেন আরোহী।