বাংলাহান্ট ডেস্ক : মাদ্রাসা (Madrasa) বিষয়ে উত্তরাখন্ড (Uttarakhand) সরকার সম্প্রতি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওয়াকফ বোর্ডের আয়ত্বে থাকা মাদ্রাসাগুলিতে নির্দিষ্ট পোশাক বিধি এবং এনসিইআরটি (NCERT) সিলেবাস পড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে। এর পরই ক্ষোভে ফুটে উঠেছে মুসলিম সমাজের একাংশ। গতকাল মওলানা সাজিদ রশিদি রীতিমতো হুমকির সুরে জানান, বেসরকারি মাদ্রাসাতে এই রকম কোনও সিদ্ধান্ত নিলে চুপ থাকবে না মুসলিম সমাজ। গোটা দেশে আগুন জ্বলবে।
এদিন মওলানা সাজিদ রশিদি জানান, ‘ প্রত্যেক রাজ্যে একটি করে মাদ্রাসা বোর্ড আছে। যারা সরকারের আওতায় কাজ করে। ওই বোর্ডের আয়ত্তে থাকা মাদ্রাসায় সরকার পোশাক বিধি চালু করতে পারে। শুধু তাই নয়, সিনেমা গান এসবও চালাতে পারে। এই সব মাদ্রাসায় সরকার যা চায় তাই করতে পারে। কেউ বাধা দিতে যাবে না। কিন্তু সরকার এটা জেনে রাখুক, বেসরকারি মাদ্রাসায় কোনও কিছু আমরা হতে দেব না।’
কিন্তু কেন ওই সাজিদ রশিদি বেসরকারি মাদ্রাসা বিষয়ে এতটা স্পর্শকাতর তাও পরিস্কার করে বলেছেন তিনি। রশিদি জানান, ‘ভারতীয় মুসলিমরা বেসরকারি মাদ্রাসাগুলিতে ৪ শতাংশ ছাত্রকে মৌলবি এবং মওলানা তৈরি করে।’ মওলানা হুঁশুয়ারি দিয়ে জানান, ‘সরকার যদি ওই ৪ শতাংশ ছাত্রের উপর হস্তক্ষেপ করে তাহলে আমরা চুপ করে বসে থাকবো না। গোটা মুসলিম সমাজ চুপ করে বসে থাকবে না।’
রশিদ আরও বলেন, ‘আমরা সরকার থেকে কিছু নিই না। ওরা তো বোকা, যারা নিজেদের মাদ্রাসাকে সরকারের হাতে তুলে দিয়েছে। এবার তার ফল ভোগ করছে। এই কারণেই আমরা সরকারের থেকে কোনও সাহায্যই নিই না।’ মওলানার এই মন্তব্যের পরই বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন মওলানা সাজিদ রশিদির গ্রেফতারির দাবিও তুলেছেন বলে জানা যাচ্ছে।