বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিজের আর্থিক অবস্থা ভালো না, তবু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে ৭০ বছর বয়সী মেহমুদ হাসান অয্যোধ্যায় হতে চলে ভব্য রাম মন্দিরের জন্য ১ হাজার ১০০ টাকা দান করেন।
মেহমুদ বলেন, আমার কাছে যদি ১১ হাজার টাকা থাকত, তাহলে আমি সেটাও মন্দির নির্মাণের জন্য দিতে পিছু হটতাম না। জানিয়ে দিই, মেহমুদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসক বলেই পরিচিত। উনি দাবি করেন যে, তিনি একবার নরেন্দ্র মোদীর মসাজ করেছিলেন।
১৯৭২ সালে যখন মেহমুদ হাসান মসৌরি গিয়েছিলেন, তখন কারকুলি গ্রামের ডালু ভাই, রতন আর প্রেম সিং ওনাকে অনেক সহায়তা করেছিল। সেই সময় ওনার কাছে মাত্র ২০ টাকা ছিল। মেহমুদ হাসান বলেন, যখনই আমার জীবনে কোনও সঙ্কটের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তখনই হিন্দু ভাইয়েরা আমাকে সাহায্য করে। লকডাউনের সময়ও গ্রামের হিন্দু ভাইয়েরা আমার সাহায্য করেছিল বলে জানান মেহমুদ।
মসৌরির একটি হোটেলে কাজ করা মেহমুদ বলেন, ২০০৯ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী এখানে এসেছিলেন, তখন তিনি তাঁর মসাজ করেন। তিনি বলেন, মোদী খুব ভালো মানুষ। মেহমুদ বলেন, রাম মন্দির নির্মাণের জন্য গ্রামের কয়েকজন যুবক চাঁদা তুলছিল। তখনই আমিও রাম মন্দির নির্মাণের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিই।
মেহমুদ বলেন, কয়েকজন যুবক আমার থেকে চাঁদা নিতে সঙ্কোচ করছিল। কিন্তু গ্রামের রাকেশ রাওয়াত নামের এক যুবক খুশি খুশি আমার থেকে চাঁদা নিয়ে যায়। মেহমুদ বলেন, মন্দির নির্মাণের জন্য দান করতে পেরে আমি খুব খুশি। মেহমুদ হাসান মূল রুপে উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। মেহমুদ হাসানের ছেলে নৌশাদ আলী বলেন, বাবা রাম মন্দিরের জন্য দান করেছেন এটা দেখে আমিও খুব খুশি।