বাংলাহান্ট ডেস্ক : ঠিক কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা (Ahmedabad Plane Crash)? কেন আচমকা দুটি জ্বালানির সুইচই ‘রান’ থেকে ‘কাট অফ’ মোডে চলে এল? আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই উঠতে শুরু করেছে একগুচ্ছ প্রশ্ন। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুলল আমেরিকার ‘ফেডেরাল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’। এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তারা।
আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় (Ahmedabad Plane Crash) জ্বালানির সুইচ নিয়ে রহস্য
বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিমান নির্মাণকারী সংস্থা ‘বোয়িং’ও। দুই সংস্থাই দাবি করেছে, বিমানের (Ahmedabad Plane Crash) জ্বালানি সুইচে যে লকিং সিস্টেম রয়েছে তা সুরক্ষিত। তাই এই সুইচের সঃস্কার নিয়ে কোনো নির্দেশিকা জারি হয়নি। এফএএ যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সেখানে বলা হয়েছে, বোয়িংয়ের বিভিন্ন বিমানে জ্বালানির সুইচ এবং লকিং পদ্ধতি একই ধরণের। তাই একে অসুরক্ষিত বলে মানতে নারাজ এএফএ। সেই সঙ্গে তারা আরও জানিয়েছে, যে পরিস্থিতিতে ‘এয়ারওয়ার্দিনেস ডিরেক্টিভ’ জারি করা যায়, তার কোনোটাই ৭৮৭ সহ বোয়িং এর কোনও মডেলেই হয়নি।
আগে সতর্ক করেছিল এফএএ: অন্যদিকে এই বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করে একাধিক বিমান (Ahmedabad Plane Crash) সংস্থাগুলিকে পৃথক ভাবে বার্তা পাঠিয়েছে বোয়িং। লকিং সিস্টেম সংস্কার করার প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বোয়িং ৭৩৭ জেটগুলি নিয়ে উপদেশাবলী জারি করেছিল এফএএ। স্পেশ্যাল এয়ারওর্দিনেস ইনফরমেশন বুলেটিনে দাবি করা হয়েছিল, বোয়িং ৭৩৭ মডেলের কিছু বিমানে জ্বালানির সুইচে ত্রুটি পাওয়া গিয়েছে। লকিং ফিচার বিচ্ছিন্ন ভাবে রয়েছে। যদিও ওই উপদেশাবলীর জন্য ওই বিমানগুলিকে (Ahmedabad Plane Crash) ‘অসুরক্ষিত’ বলা হয়নি।
প্রকাশ্যে তদন্ত রিপোর্ট: রিপোর্টে বলা হয়েছে, একজন পাইলট অপরজনকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তুমি জ্বালানি বন্ধ করে দিলে কেন?’ অপর পাইলট উত্তর দেন, ‘আমি কিছু করিনি’। ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যেতে ব়্যাম এয়ার টার্বাইন চালু করা হয়েছিল। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এমতাবস্থায় রহস্য ঘনাচ্ছে জ্বালানির সুইচ নিয়ে।
আরও পড়ুন : কোনও নিয়ম মানছে না ইসকন, অভিযোগ তুলে এবার পুজোর রীতিনীতির ‘কপিরাইট’ নিতে চলেছে পুরীর মন্দির!
জানিয়ে রাখি, কোনও বিমানের ক্ষেত্রে ত্রুটি গুরুত্বপূর্ণ হলে এয়ারওর্দিনেস ডিরেক্টিভ জারি করে এফএএ। এর ফলে ওই ত্রুটিগুলি সংশোধন করার জন্য বাধ্য হয় বিমান সংস্থা। তবে এক্ষেত্রে তেমন কিছু জারি না করায় জ্বালানির সুইচ পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে বাধ্য ছিল না এয়ার ইন্ডিয়া। কিন্তু এই দুর্ঘটনার পরে অনেকেই মনে করছেন, ওই সতর্কবার্তার পরীক্ষা করা হলে হয়তো এড়ানো যেত দুর্ঘটনা।