কলম থামেনি, ফুরোয়নি কালি ফুরিয়েছে শুধু আত্মার মেয়াদ, নক্ষত্র পতন,জীবনাবসান নবনীতা দেবসেনের

 

অমিত সরকারঃ”কি যাদু বাংলা গানে গান গেয়ে দাঁড় মাঝি টানে গেয়ে গান নাচে বাউল গান গেয়ে ধান কাটে চাষা” অতুলপ্রসাদ সেনের সেই গান এ যেন বাংলার এক অপূর্ব মাধুর্য মিশে রয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য যে নবনীতা দেব সেন যিনি বাংলা সাহিত্যের সমৃদ্ধির এক অপূর্ব গ্রন্থাগার ছিলেন বলা যায়। মোদের গরব মোদের আশা আ মরি বাংলা ভাষা। তিনি বাংলা ভাষাকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন যেখান থেকে হয়তো এই হিমালয় চুরাকে ও ছোট মনে হয়।

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি এমন এক যুগের সূচনা করে দিয়ে গিয়েছেন যা সত্যিই ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে তার লেখা তার বৈশিষ্ট্যের গুণাবলী সত্যিই অনবদ্য তিনি হয়তো কোন এক পত্রিকায় মৃত্যুর আগে পর্যন্ত লিখে গিয়েছেন তার কলম থামেনি তার কালী হয়তো ফুরোয়নি তার জীবনটা হয়তো ফুরিয়ে গিয়েছে

বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হিন্দুস্তান পার্কের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা সাহিত্যেকে সমৃদ্ধ করেছেন নবনীতা। পেয়েছেন সাহিত্য অকাদেমি ও পদ্মশ্রী-সহ নানা পুরস্কার।

Screen Shot 2019 11 07 at 9.38.25 PM 1069x600

তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতেই রাখা হবে প্রয়াত সাহিত্যিকের মরদেহ। আগামী কাল তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে কী কর্মসূচি নেওয়া হবে সেটা পরে জানানো হবে।

নবনীতা দেবসেন দক্ষিণ কলকাতায় হিন্দুস্থান পার্কে তার বাবা- মা’র ‘ভালবাসা’ গৃহে জন্মগ্রহণ করেন । পিতা নরেন্দ্র দেব ও মাতা রাধারানী দেবী সেযুগের বিশিষ্ট কবি দম্পতি। ছেলেবেলায় এক বিশেষ সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশে তিনি বড় হয়েছেন

১৯৬০ এ তিনি বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ (পরবর্তীকালে নোবেলজয়ী) অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ও তাদের দুই কন্যা। জ্যেষ্ঠা অন্তরা সাংবাদিক ও সম্পাদক এবং কনিষ্ঠা নন্দনা অভিনেত্রী ও সমাজকর্মী। ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর ৮১ বছর বয়সে কলকাতায় তাঁর নিজের বাড়িতে প্রয়াত হন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপেরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর ছিলেন। তাকে তুলনামূলক সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট অথরিটি মানা হয়। যাদবপুরে তিনি কবি বুদ্ধদেব বসু ও সুধীন্দ্রনাথ দত্তের স্নেহধন্য ছাত্রী ছিলেন।

তুলনামূলক সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট অথরিটি মানা হয়। যাদবপুরে তিনি কবি বুদ্ধদেব বসু ও সুধীন্দ্রনাথ দত্তের স্নেহধন্য ছাত্রী ছিলেন। ১৯৯৯ সালে তিনি সাহিত্য একদেমি পুরস্কার পান তার আত্মজীবনী মূলক রম্যরচনা ‘নটী নবনীতা’ গ্রন্থের জন্যে। এছাড়াও তিনি মহাদেবী বর্মা ও ভারতীয় ভাষা পরিষদ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকেও বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন।


সম্পর্কিত খবর