বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় মহাকাল মন্দির তৈরির পরিকল্পনা এবার বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে। নবান্নে (Nabanna) মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্দির তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জমি হস্তান্তরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে প্রকল্পে কাজ এগোনোর পথ এভার আরও সহজ হল।
সোমবার নবান্নে (Nabanna) মন্ত্রিসভার বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকদিন আগে ঘোষণা করেছিলেন, শিলিগুড়ির কাছে সমতলে একটি বড় মহাকাল মন্দির তৈরি করা হবে। সেই কথা অনুযায়ী সোমবার নবান্নে (Nabanna) মন্ত্রিসভার বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। মন্দির তৈরির জন্য যে জমিগুলো চিহ্নিত করা হয়েছিল, সেগুলোর প্রশাসনিক ও আইনি হস্তান্তরের প্রস্তাব এদিন অনুমোদন পেল।
অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, মাটিগাড়ার উজানুর মৌজায় (জেএল ৮৬) ২৫.১৫ একর এবং গৌড়চরণ মৌজায় (জেএল ৮১) ৩.৯৫ একর জমি মন্দিরের জন্য আলাদা করা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আরও একখণ্ড জমি। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভলপমেন্ট অথরিটির (এসজেডিএ) ১৭.৪১ একর জমি, যা আগে ‘লক্ষ্মী টাউনশিপ অ্যান্ড হোল্ডিংস লিমিটেড’-কে লিজ দেওয়া হয়েছিল, সেই লিজ ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই তিনটি জায়গার জমি একত্রিত করেই তৈরি হবে মহাকাল মন্দির এবং একটি কালচারাল সেন্টার। চন্দ্রিমা জানান, এসজেডিএ-র জমিটি প্রথমে যাবে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের হাতে। তারপর তা হস্তান্তর করা হবে পর্যটন দপ্তরের কাছে, কারণ পুরো প্রকল্পটা পর্যটনের উন্নতির লক্ষ্য নিয়েই তৈরি হচ্ছে।
একই বৈঠকে আরেকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেটি হল ডাবগ্রাম মৌজায় ১০ একর জমিতে তৈরি হবে একটি অত্যাধুনিক কনভেনশন সেন্টার। এই প্রকল্পের জন্য সরকার জমি দেবে বিনামূল্যে। উত্তরবঙ্গকে পর্যটন এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আরও উন্নত জায়গায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার অংশ এটি। এছাড়াও রাজ্যজুড়ে কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য ডব্লুবিআইডিটিসি-র অধীনে সাতটি নতুন শিল্পপার্ক তৈরি করা হবে। কোচবিহার ও ফলতায় দুটি করে, আর কল্যাণী, বিষ্ণুপুর এবং উলুবেড়িয়ায় একটি করে পার্ক হবে। প্রয়োজনীয় জমি দেবে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর।

উত্তরবঙ্গ সফরের সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, দার্জিলিঙের ম্যালের মতো সমতলে একটি বড় মহাকাল মন্দির তৈরি করার ইচ্ছা তাঁর আছে। তিনি তখনই উপযুক্ত জমি খুঁজে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, এখন সেই পরিকল্পনাই ধীরে ধীরে রূপ নিচ্ছে। নতুন মন্দিরে সবচেয়ে বড় শিবমূর্তি থাকবে বলেও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।












