বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় কেন বাংলার (West bengal) কোন জেলার নাম নেই সংসদে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে (Nirmala Sitharaman) এমনটাই প্রশ্ন করেছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। লকডাউনের সময়ে ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা সকলেই কাজ হারিয়ে নিজের রাজ্যে ফিরেছিলেন। তেমনই বাংলায় লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে এসেছিলেন বলে দাবি অধীর চৌধুরীর।
গরিব কল্যাণ যোজনা
করোনা আবহে জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে লকডাউনের মধ্যে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের সন্ধান পাইয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার আয়ত্তায় ১১৬ টি জেলার জন্য এই প্রকল্প খাতে মোট ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
কেন্দ্রের নির্ধারিত এই ১১৬ টি জেলার মধ্যে বাংলার কোনও জেলার নাম না থাকায় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, যদি কোন জেলায় নূন্যতম ২৫ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে আসে, তাহলে সেই জেলার নাম এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বাংলা থেকে কেন্দ্রের কাছে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরে আসার কোন তালিকা পাঠানো হয়নি। যদি রাজ্য সরকার কোন নথি দেন, তাহলে অবশ্যই এই তালিকায় সংযোজন করা হবে।
বাংলার জেলা কেন স্থান পেল না?
প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা নিয়ে সেদিনের করা প্রশ্ন আজ আবারও সংসদে সরাসরি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের উদ্দেশ্যে করেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, এই লকডাউনের সময়কালে ভিন রাজ্য থেকে লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক বাংলায় ফিরেছে। লোকসভায় থাকা বাংলার ৪২ জন সাংসদই একথা জানেন। ফিরে আসা ১০ জেলার মধ্যে আমার জেলা মুশির্দাবাদেই প্রায় দেড় লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে এসেছেন। কেন্দ্র যে ১১৬ টি জেলার তালিকা তৈরি করেছে সেখানে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ওড়়িশা, ঝাড়খণ্ড থাকলেও আমার জেলার নাম নেই কেন? অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইব মুর্শিদাবাদেরও নাম কেন নেই?
অধীরের জবাবে নির্মলা
অধীর চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখেই ৩০ শে মে পর্যন্ত যে সব জেলায় ২৫ হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে এসেছেন, তাঁদের তালিকা তৈরি করেছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কতজন শ্রমিক ফিরেছেন, আদৌও কেউ ফিরেছেন কিনা- কোন কিছুই জানায়নি রাজ্য সরকার। রাজ্য থেকে যদি কোন রকম তথ্য না পাঠায়, তাহলে কেন্দ্র কিভাবে তার নাম নথিভুক্ত করবে? বাংলার সরকারের উদাসীনতার কারণেই এমনটা হয়েছে।
তৃণমূলের গৃহযুদ্ধ! কল্যাণের ‘মাথায় কার হাত!’ মন্তব্যের পাল্টা দিলেন তৃণাঙ্কুর