বাংলাহান্ট ডেস্ক: নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী (nachiketa)। শুধু জনপ্রিয় বললে হয়তো তাঁর খ্যাতিকে ছোট করা হয়। সে জনপ্রিয়তার ব্যাপ্তি এতটাই যা লেখনীর মাধ্যমে সঠিক ভাবে প্রকাশ করা যাবে না। নচিকেতার গান, তাঁর জীবনদর্শনের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে গভীর অর্থ। বাইরের মোড়কে তা সহজে ধরা পড়বে না।
১লা সেপ্টেম্বর ৫৭ তে পড়লেন নচিকেতা। বিভিন্ন জায়গায় তাঁর বহু ফ্যানক্লাবের তরফে অনুষ্ঠান হচ্ছে, নানান উদযাপনের বাহার। কিন্তু এর মাঝে আসল মানুষটা কই? তিনি তখন নিজের বাড়িতে টিভিতে মুখ গুঁজেছেন। বাড়িতে অতিথিদের আসতেও নাকি বারন করে দিয়েছেন। জন্মদিনে স্পেশ্যাল মেনু না, স্রেফ আলু পোস্ততেই খুশি ‘বৃদ্ধাশ্রম’ স্রষ্টা।
এই বয়সে এসেও নচিকেতার গলায় সেই পুরনো ঝাঁঝ দিব্য বর্তমান। সংবাদ মাধ্যমের কাছে তাঁর বক্তব্য, শিল্পীর যন্ত্রণা যতদিন থাকবে ততদিন সাধারন মানুষেরা খুশিতে থাকবেন। শিল্প ফুরিয়ে যাওয়া মানেই তো শিল্পীর মৃত্যু। তাই অন্য মানুষের কাছে যেটা হয়তো যন্ত্রণার সামিল সেটাই নচিকেতার কাছে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ। নিজের মতো করে বাঁচাতেই বিশ্বাসী তিনি।
কটাক্ষ শানাতে ছাড়েননি সমকালীন মিডিয়াকেও। নতুন যুগের বাংলা গান ছেড়ে এখনো স্বর্ণ যুগেরগান নিয়েই মাতামাতি, নতুন শিল্পীদের প্রশংসা বা সমালোচনা করে কোনো লেখা নেই। এজন্যই নতুনদের তেমন কদর নেই, মত নচিকেতার। সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, যেগুলো তাঁর প্রেমের গান বলে চিহ্নিত সেগুলোর মাধ্যমে আসলে বিদ্রোহ জানিয়েছেন তিনি। নচিকেতার গান বুঝতে এখনো শ্রোতাদের সাধনা করতে হবে।
গানের পাশাপাশি নচিকেতা এবং রাজনীতি কিন্তু সমার্থক। তিনি ‘স্বাধীন বামপন্থী’ হিসেবেই পরিচিত। রাজনৈতিক মহলে এখন আলোচনার অন্যতম বিষয়বস্তু আফগানিস্তানে তালিবানি রাজ। অভিনেতা, বুদ্ধিজীবীরাও মতামত প্রকাশ করেছেন এ বিষয়ে। নচিকেতার কী বক্তব্য আফগানিস্তানের ব্যাপারে? তাঁর কটাক্ষ, যাঁরা একদিন অন্তর দলবদল করছেন তাঁরা আবার তালিবান নিয়ে কথা বলতে আসেন! ভারতের সঙ্গে আমেরিকার ভাল সম্পর্ক, আবার তালিবানের সঙ্গেও কোটি টাকার ব্যবসা। আগে দেশের প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা করুন আফগানরা ভাল নেই। তবেই মুখ খুলবেন নচিকেতা!